Cannes: কানে বাঙালি পরিচালকের ছবি, মে মাসে ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলার কাজ
Cannes-Aneek Chaudhuri: এটা প্রথমবার নয়, আগেও কানে গিয়েছে অনীকের ছবি। এই ছবিটি জায়গা পেয়েছে মার্কেট সেকশনে।
কানে গিয়েছে বাঙালি পরিচালক অনীক চৌধুরীর ছবি ‘দ্য টেল অফ আ স্যান্টা অ্যান্ড হিজ় মথ’। ছবিতে অভিনয় করেছেন পবন চোপড়া, উষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতারা। এর আগে ‘সান্ড কি আঁখ’, ‘শেরশাহ’, ‘দিল ধড়ক নে দো’, ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর মতো ছবি ও ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেছেন পবন। উষাকে দেখা গিয়েছে অনীকেরই পরিচালিত নির্বাক ছবি ‘ঝারোক’-এতে।
এটা প্রথমবার নয়, আগেও কানে গিয়েছে অনীকের ছবি। ছবিটি জায়গা পেয়েছে মার্কেট সেকশনে। অনীক বলেছেন, “কানের মার্কেটে যে ধরনের এক্সপোজ়ার ঘটে (পড়ুন: প্রকাশ ঘটে) তাতে বিষয়টি অভাবনীয়। অতীতে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এবারও সেরকমই কিছু আশা করছি আমি। অর্গ্যানিক সিনেমা ডট ইঙ্ক আমার ছবির প্রেজ়েন্টার। ওরা আমার কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। ফলে শৈল্পিক দিকে বেশি মনোনিবেশ করতে পেরেছি।” ছবির প্রযোজনা করেছে টিউবলাইট এন্টারটেইনমেন্ট প্রোডাকশনস।
অনীক TV9 বাংলাকে বলেছেন, “দারুণ পারফর্ম করেছেন পবন চোপড়া। গত তিন বছর ধরে আমাদের মধ্যে কথা চলছে। দু’বছর আগে ভাবলাম লক ডাউন শর্টফিল্ম তৈরি করব। কলকাতা থেকে চিত্রনাট্য পাঠালাম। ওঁর ছেলে মুম্বইতে বসে শুটিং করে পাঠালেন। দারুণ হল বিষয়টা। তারপর যখনই কোনও কাজ করি, উনি আমার ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকেন। তিনি আমার কাছে মিউজ়। তাঁকে নিয়ে সেরকমভাবে ছবি তৈরিও হয়নি। সব সময় আক্ষেপ করেন পবন, যে পরিচালকদের প্রশ্ন করা যায় না। কারণ পরিচালকরা উত্তর দেন না। বলেন, ‘আমরা যাই, কাজ করি আর চলে আসি’। কথাবার্তা, আলাপ-আলোচনা খুব প্রয়োজন। তিনিই আমাকে বলেছিলেন, যে ক্রিয়েটিভ কিছু করতে চান। তাই কাজ করতে শুরু করে দিই। সিনেমাটাই বানাতে পারি। তাই সেটাই তৈরি করলাম আরকী। যত তিনমাস ধরে ছবি নিয়ে কাজ চলছিল। ৮, ৯, ১০ ফেব্রুয়ারি শুটিং হল।” মুম্বইয়ের তুলনায় কলকাতায় ছবির শুটিং করলে অল্প বাজেটের মধ্যেই হয়ে যায়, জানিয়েছেন অনীক। যে কারণে কলকাতাকেই বেছে নিয়েছেন পরিচালক।
ছবির নাম কেন ‘দ্য টেল অফ এ স্যান্টা অ্যান্ড হিজ় মথ’ জানিয়েছেন পরিচালক। প্রজাপতি ডিম পারে গাছের পাতায়। শুয়োপোকা বেরিয়ে আসে সেই ডিম থেকে। কিছু শুয়োপোকা প্রজাপতিতে পরিণত হয়। কিছু মথ হয়। মথের আয়ু খুবই কম। ছবিতে সমকামিতা বিষয়টিকেও তুলে ধরা হয়েছে। আর তুলে ধরা হয়েছে বাবা-মেয়ের সম্পর্ককে। অনীক বলেছেন, “পবন যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সে সমকামী। কিন্তু সে সেটা জানতে পারে অনেক পরে। বিয়ে করে। সন্তানও হয়। মেয়ের যখন ২০ বছর বয়স, তার কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। সেই চরিত্রে ঊষা। তারপর কী হয় সেটাই ছবির টুইস্ট। অপূর্ণ ইচ্ছাকে কেন্দ্র করে ছবির গল্প।”
দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন অনীক। বিষয় ছিল ইংরেজি সাহিত্য। তারপর ফিল্ম নিয়ে লেখাপড়া করেছেন এফটিআইআইতে। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মনোনীত হয়েছে অনীকের একাধিক ছবি। যেমন – রবীন্দ্রনাথের ‘স্ত্রীর পত্র’। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রয়েছে ছবিটি। তাঁর ‘হোয়াইট’ ছবিটিও গিয়েছে কানে। তিনটি গল্পকে জুড়ে ছবি। ধর্ষণকে কেন্দ্র করে গল্পগুলি। তৈরি করেন ‘ক্যাকটাস’। বাইবেলকে পুনর্গঠন করেছেন পরিচালক। যিশু খ্রিস্টকে দেখানো হয়েছে নারী হিসেবে। কানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছবিটি সংরক্ষিত অস্কার কমিটির কাছেও।