Amitabh Bachchan Controversy: ‘গ্রাহকদের উদ্দেশে মিথ্যা তথ্য’, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জেরে নিশানায় অমিতাভ
Advertisement Controversy: ১০ লাখের জরিমানার কথাও উল্লেখ রয়েছে এই অভিযোগে। এই মর্মে একটি ইমেলও পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থা ফ্লিপকার্টকে। যদিও তাদের তরফ থেকে এখনও কোনও উত্তর মেলেনি। উত্তর আসেনি অমিতাভ বচ্চনের তরফ থেকেও।
ব্যবসায়ী সংস্থা CAIT (The Confederation of All India Traders)-এর নজরে এবার বিগ বি। বিজ্ঞাপনের জেরে এবার বিপাকে বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। বিজ্ঞাপনে সেলেবদের ‘মুখ’ মোটা টাকায় বিক্রি করা হয় এবং মূলত তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা উপর ভিত্তি করেই গ্রাহকেরা কখনও পণ্য কেনেন, আবার কখনও বা পরিষেবাও গ্রহণ করেন। তাই-ই কখনও কোনও পণ্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হলে তার বিজ্ঞাপনের সঙ্গে জড়িত মুখটিও উঠে আসে আলোচনার বৃত্তে। সেই কারণেই বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের চুক্তি সই করার সঙ্গে সঙ্গেই যেন সংশ্লিষ্ট তারকার দায়ও জড়িয়ে যায়। পণ্যের গুণগত মান অথবা কোনও সংস্থার তরফে বিক্রি করা পরিষেবা সম্পর্কে বিন্দুমাত্রও কিছু না জেনেশুনে মূলত টাকার জন্য ক্রেতাদের ‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতি’ দেওয়ার অভিযোগে অতীতেও একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে অগুণতি সেলেবকে। কখনও মাধুরী দীক্ষিত, কখনও আবার আমির খান। আর এবার প্রশ্নের মুখে খোদ অমিতাভ বচ্চনের বিজ্ঞাপন।
CAIT-এর তরফে Central Consumer Protection Authority (CCPA) সেই বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে জানানোও হয়েছে অভিযোগ। বিজ্ঞাপনে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে CAIT। পাশাপাশি CAIT অভিযুক্ত সংস্থা ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে জরিমানার আবেদনও জানিয়েছে CCPA-র কাছে। কেবল ফ্লিপকার্টই নয়, CAIT-র আর্জি, জরিমানা দিতে হবে খোদ অমিতাভ বচ্চনকেও। ক্রেতা সুরক্ষা সংস্থার “false or misleading advertisement”( মিথ্যে অথবা বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন)-এর ধারা অনুযায়ী এই জরিমানা আরোপ করার বিধান রয়েছে বলেও CCPA-কে জানিয়েছে CAIT। কত টাকা জরিমানা করা হতে পারে সেক্ষেত্রে বিগ বি-কে?
CAIT-এর অভিযোগে ১০ লাখের জরিমানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই মর্মে একটি ই-মেলও পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত সংস্থা ফ্লিপকার্টকে। Business Standard-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত সংস্তার তরফে আপাতত কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। CAIT বা CCPA, আপাতত কারও কাছে অমিতাভ বচ্চনের পক্ষ থেকেও উত্তর আসেনি। বিজ্ঞাপনে সেলেবদের সাক্ষর করার আগে বেশ কয়েকটি বিষয় নজরে রাখার নির্দেশিকা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল: সেলেব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রেতা বা গ্রাহকদের যে বার্তা দিচ্ছেন, তা সম্পূর্ণ খতিয়ে দেখার দায় তাঁদেরও। ‘এনডোর্সমেন্ট’-এর আগে পণ্য বা পরিষেবাটির সত্যতার বিষয়ে অবগত থাকাটা এক্ষেত্রে ভীষণভাবে জরুরি সেলেবদের জন্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যা নজরে না রেখে সেলেবদের বিজ্ঞাপনের ‘মুখ’ হয়ে উঠতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। আর সেখান থেকেই ঘটে এহেন বিপত্তি।