Iman Chakrabarty: ফল নিয়ে যৌন ইঙ্গিত, কদর্য চাহনি– ‘নিরাপদ নন ইমনই, তাহলে বাকিরা… ?’
Iman Chakrabarty: জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গায়িকা ইমন চক্রবর্তীকে প্রকাশ্যে রাস্তায় করা হয়েছে কদর্য মন্তব্য। এমনকি যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ নানা কথাও বলা হয়েছে তাঁকে।
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গায়িকা ইমন চক্রবর্তীকে প্রকাশ্যে রাস্তায় করা হয়েছে কদর্য মন্তব্য। এমনকি যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ নানা কথাও বলা হয়েছে তাঁকে। ইমনের অভিযোগের ভিত্তিতে রিজেন্ট পার্ক থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআরও। এ খবর এতক্ষণে সকলেই জেনে গিয়েছেন। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল গত রাতে? কোথা থেকেই বা হল ঘটনার সূত্রপাত? জানালেন ইমন। ইমন জানিয়েছেন, দক্ষিণ কলকাতায় মাঝেমধ্যেই তিনি, স্বামী নীলাঞ্জন ও বন্ধুবান্ধবরা মিলে ব্যাডমিন্টন খেলতে যান। বৃহস্পতিবারও গিয়েছিলেন। খেলা শেষে এক পরিচিত দোকান থেকে ফল কিনতে গিয়েই পড়তে হয় ওই কুৎসিত ঘটনার মুখে। আপেল কিনছিলেন ইমন। অদূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। ইমনের অভিযোগ, অনেকক্ষণ ধরেই ইমনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন ওই ব্যক্তি। ইমন ভেবেছিলেন পাত্তা দেবেন না। কিন্তু ওই ব্যক্তি নাকি হঠাৎই যৌনইঙ্গিত পূর্ণ নানা মন্তব্য করতে শুরু করেন ইমনকে লক্ষ্য করে। ‘আপেল ম্যাডামকে বেশি করে দে, কলা কিনে দে’–ইত্যাদি নানা মন্তব্য উড়ে আসতে থাকে ওই তরফে।
ইমন জানাচ্ছেন, প্রথমটায় তিনি চুপ করে থাকবেনই ভেবেছিলেন। কিন্তু যেহেতু তাঁর বোন সহ অনেক মেয়েরা যারা গণপরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করেন তাঁদের সঙ্গেও যে অনুরূপ ঘটনা ঘটতে পারে এই ভেবে তিনি আর চুপ থাকতে পারেননি। ইমনের কথায়, “আমি গিয়ে বলি, তাকিয়ে আছ কেন? এভাবে তাকিয়ে আছ কেন? কিছু বলার থাকলে বল”। ইমন যোগ করেন, “আমাকে কিছু লোক হলেও চেনে। আমার সঙ্গে আমার পুরো পরিবার ছিল। তার পরেও যদি এরকমটা তা হতে পারে, তাহলে সকলের সঙ্গেই হতে পারে। তাই আমার মনে হয়েছে আমার প্রতিবাদ জানানো উচিৎ।”
আর দেরি করেননি ইমন। তৎক্ষণাৎ ফোন করেন রিজেন্ট পার্ক থানায়। ইমন জানিয়েছেন পুলিশের কাছ থেকে দ্রুত সাহায্য পেয়েছেন তিনি। দায়ের করেছেন এফআইআর। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম রঞ্জন মজুমদার। তবে ট্রমা কিছুতেই কাটছে না তাঁর। যেভাবে কুরুচিকর দৃষ্টি দিয়ে ওই ব্যক্তি সর্বাঙ্গ মাপছিল ইমনের তা যে কতটা নোংরা সে কথাই বারেবারে বলছেন ইমন। ঘটনায় চিন্তিত শহরবাসী। তাঁদের একটাই প্রশ্ন, “ইমন তারকা, তাঁর উদ্দেশেই এমন আচরণ, তাহলে বাকিরা? সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ”? তবে এই ক্ষেত্রে পুলিশি তৎপরতায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সকলেই।