AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Singer KK Death: গাইতে গাইতেই পৃথিবী থেকে যেতে চেয়েছিলেন কেকে, বন্ধু গীতিকার সমীরের স্মৃতিচারণ

Sameer Anjaan-KK: খাবার হোক, শরীর চর্চা, গান গাওয়া, রেওয়াজ করা, সবই ছিল তাঁর নিয়ম মেনে। আর সেই ব্যক্তি কিনা এইভাবে চলে গেলেন, এটা মানতে পারছেন না সমীরও।

Singer KK Death: গাইতে গাইতেই পৃথিবী থেকে যেতে চেয়েছিলেন কেকে, বন্ধু গীতিকার সমীরের স্মৃতিচারণ
সমীর-কেকে
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2022 | 9:14 PM
Share

কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে আকষ্মিক প্রয়াত হন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে। তাঁর মৃত্যকে ঘিরে বিতর্ক সমানে চলছে। আবার পাশাপাশি রয়েছে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণও। প্রত্যেকেই কেকে-এর মতো ভাল মানুষের চলে যাওয়া নিয়ে আবেগতাড়িত। কেকে যখন কেকে হননি সেই সময়ের বন্ধু গীতিকার সমীর আনজান। কেকে-এর জীবনের লড়াই দেখেছেন তিনি। আবার দেখেছেন শিল্পীর সফল জীবন। কিন্তু কখনও মানুষটাকে বদলাতে দেখেননি। এমনটাই জানিয়েছেন সমীর। সেই প্রসঙ্গেই তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানালেন, অনেক গান রয়েছে শিল্পীর। কিন্তু তাঁর প্রথমেই মনে পড়ছে

তাঁরই লেখা ‘রহেনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ছবির ‘সাচ কেহতা হ্যায় দিওয়ানা’ গানটির কথা। গান প্রবল জনপ্রিয় হয়েছিল। সমীরের মতে প্রত্যেকটি গান তৈরির পিছনে একটি গল্প থাকে। ‘সাচ কেহতা’র পিছনেও রয়েছে। গীতিকারে মতে, এই গল্পটি জানলে বোঝা যাবে কেকে-কে।

কী গল্প, তা বলতে গিয়ে সমীর বললেন,  “গানটি যখন তৈরি হয় পরিচালক-প্রযোজক চাইছিলেন একটু অন্যরকম গলার গায়ক। আমি কেকে-র গান শুনেছিলাম। আমি ওঁর নাম বলি। তবে ছবির রেকর্ডিংয়ের দিন একটা সমস্যা হয়। সবকটা গান একদিনে রেকর্ড করতে হত। সকলেই চেন্নাই এসে গাইতে নানা রকম সমস্যার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কেকে-ই একমাত্র ব্যক্তি যিনি কিছু না বলে সকালের বিমানে এসে রেকর্ড করে ফিরে যান। কোনও রকম বাহানা করেনি। তখন কেকে জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছেন”।

সমীরের মতে, বাংলা, হিন্দি, পাঞ্জাবি যে কোনও ভাষার গান হোক তিনি খুব তাড়াতাড়ি গান রেকর্ড করে ফেলতে পারতেন। আসলে যে কোনও কাজ তিনি খুব নিয়ম মেনে করতেন। খাবার হোক, শরীর চর্চা, গান গাওয়া, রেওয়াজ করা, সবই ছিল তাঁর নিয়ম মেনে। আর সেই ব্যক্তি কিনা এইভাবে চলে গেলেন, এটা মানতে পারছেন না সমীরও। নিয়মিত যোগা, হাঁটা, নিরামিষ খাওয়া-এটাই ছিল তাঁর রোজনামচা।

আর একটি বিষয় ছিল কেকে-এর জীবনে। তিনি পরিবার আর গানের মধ্যে বেঁচা থাকতে চাইতেন। “কেকে সব সময় বলত মেক-আপ করে ক্যামেরার সামনে থেকে বেশি ভাল লাগে লাইভ পারফর্মেন্স করতে। সেখানে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। পরিবারে বাইরে এটাই আমার জগৎ। আমি চাই জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত যেন লাইভ পারফর্মেন্স করে যেতে পারি। গাইতে গাইতে চলে যেতে চাই,” তাঁর এই চাওয়াই যেন সত্যি হল বললেন সমীর। যোগ করলেন, নইলে কেকে-এর মতো ফিট শিল্পী এমন কম বয়সে চলে যেতে পারেন না। নিজের শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে বোধহয় এই ভাবে চলে গেলেন একজন ভাল গায়ক, ভাল মানুষ কেকে।