“তোর এই এফএম-টেফএম কদ্দিন চলবে?”, আজ কোন প্রসঙ্গে বললেন মীর?
শুক্রবার সকালে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন মীর। একমাথা কালো চুল, সাদা শার্ট পরা ১৯ বছরের 'যুবক' মীর রেডিয়োতে কথা বলছেন শ্রোতাদের সঙ্গে। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন প্রাক্তন সহকর্মী রঞ্জিত মাদগাভকর।
২৭ বছর হয়ে গেল। মীর আফসর আলি রেডিয়োর যাত্রা শুরু করেছিলেন প্রায় তিন দশক আগে। সেই চেনা কণ্ঠস্বর, যা শুনে বড় হয়েছে একটা গোটা প্রজন্ম। আগামী প্রজন্মের কাছেও তিনি অনুপ্রেরণা। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাকে কীভাবে মনে রেখেছেন মীর? জানালেন TV9 বাংলাকে। শুক্রবার সকালে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও। একমাথা কালো চুল, সাদা শার্ট পরা ১৯ বছরের ‘যুবক’ মীর রেডিয়োতে কথা বলছেন শ্রোতাদের সঙ্গে। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন প্রাক্তন সহকর্মী রঞ্জিত মডগাঁওকর।
মীর বলেছেন, “আমার স্পষ্ট মনে আছে আগের দিনের সন্ধ্যার কথা। কী যে এক অমূল্য অনুভূতি বলে বোঝানো কঠিন। আমার বয়স তখন ছিল মাত্র ১৯ বছর। ১৯৯৪ সালের কথা। বাবার থেকে ৩০০ টাকা ধার নিয়ে ছুট্টে গিয়েছিলাম নিউ মার্কেটের সিমফনিতে। উদ্দেশ্য ছিল রেডিয়ো সেট কেনার। আমার কাছে কোনও রেডিও সেট ছিল না সেই সময়। এফএম তখন সবে শুরু হয়েছে কলকাতায়। পরদিন রেডিওতে আমার কথা শুনবে গোটা শহর। অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি ভোর সাড়ে ৫টায়। সঙ্গী ১৮-২০টি সিডি। বাবুঘাটের বাসে উঠি। বাস নম্বরটাও আমার স্পষ্ট মনে আছে। ২১৮। আকাশবাণী ভবনের সামনে নামি। ৬টার সময় বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকি। গলা শুকিয়ে আসছিল। চোখ বড় বড় হয়ে গিয়েছিল। আমি আপেক্ষা করছিলাম। কখন লাল বাতি জ্বলবে। সকাল ৭টা। টাইমস এফ এম। মাইক অন, মীর অন! শুরু হল যাত্রাপথ। তারপর থেকে মাইক অন আছে। আর থামেনি। দেখতে দেখতে ২৭টা বছর কেটে গেল। ৬ অগাস্ট ১৯৯৪ থেকে ৬ অগাস্ট ২০২১। অনেক মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সেই লিস্ট একদিন তৈরি করব। আপাতত আমার কথা শোনার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।”
সেই মীর থেকে আজকের ‘সকাল ম্যান’ মীর। কলকাতা শহর ও মীরের কণ্ঠ যেন একে অপরের পরিপূরক। বাবা চেয়েছিলেন আরও লেখাপড়া করে নিরাপদ চাকরি করুন মীর। বলেছিলেন, “তোর এই এফএম-টেফএম কদ্দিন চলবে”? কিন্তু আজও সেই উত্তর নেই মীরের কাছে। এখনও উত্তর খুঁজছেন ‘সকাল ম্যান’ মীর
আরও পড়ুন: Bhumi Pednekar : এবার শাহিদের সাথে থ্রিলারে অভিনয় করতে চলেছেন ভূমি পেডনেকর?