জয়পুরে রীতিমতো ‘মবড’ (অনুরাগীদের উচ্ছ্বসিত সমাবেশ) হয়েছেন রামচরণ ও জুনিয়র এনটিআর। সর্বভারতীয় স্তরে দক্ষিণ ভারতীয় তারকাদের এমনই ক্রেজ়। জলপথে ঘুরতে-ঘুরতে অবশেষে কলকাতার গঙ্গার ঘাটে এসে উপস্থিত হয়েছেন ‘আরআরআর’ ছবির তারকারা। ‘বাহুবলী’র দুটি ছবির পর এসএস রাজমৌলির পরবর্তী ছবি ‘আরআরআর’ নিয়ে হাইপ তৈরি হয়েছে অনেকদিন ধরেই। মঙ্গলবার সকালে হাওড়া ব্রিজের সামনে গঙ্গার ঘাটে দেখা মেলে তিন তারকার। লোকে লোকারণ্য! কলকাতাপ্রীতি ব্যক্ত করলেন ‘আরআরআর’ ছবির পরিচালক ও দুই মহা-তারকা।
কলকাতার পরিবেশ সম্পর্কে জুনিয়র এনটিআর বলেছেন, “আমি এবার আর স্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারলাম না। কিন্তু পরেরবার ওঁকে নিয়ে আসব। বাংলার তৈরি শাড়ি পরার ওঁর অনেক দিনের ইচ্ছা। ওঁকে নিয়ে এসে শাড়ি কিনে দেব।” কেবল শাড়ি নয়, খাদ্যরসিক জুনিয়র এনটিআর পছন্দ করেন নানাস্বাদের বাঙালি-ভোজও।
রামচরণের কাছে কলকাতা অজানা শহর নয়। বহুবছর আগে দক্ষিণী ছবি ‘নায়ক’-এর শুটিংয়ে এসেছিলেন তিলোত্তমায়। ছোটে লাল ঘাটে শুটিং করেছিলেন তিনি। সেই সব স্মৃতিই ঘুরে ফিরে আসছিল রামচরণের স্মৃতিতে। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন মহা-তারকা।
তারপর পরিচালক এসএস রাজামৌলি এমন একজন মানুষের কথা বললেন, যাঁর নাম শুনলে সকল বাঙালির প্রাণ কেঁদে ওঠে – নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। রাজামৌলির ছবিটি দুই স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে – আল্লুরি শ্রীতারাম রাজু ও কোমারাম ভীম। একটা সময় নেতাজিও তাঁদের কাজকে সমর্থন করেছিলেন। তাঁদের বীরত্বের বাহবা জানিয়েছিলেন। সেই চরিত্র দুটিতেই অভিনয় করেছেন জুনিয়র এনটিআর ও রামচরণ। নেতাজিতেই এই ছবি উৎসর্গ করলেন রাজামৌলি।
রামচরণ ও জুনিয়র এনটিআরের সঙ্গে ‘আরআরআ’-এ অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট ও অজয় দেবগণও। ২৫ মার্চ গোটা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ছবিটি। ছবি মুক্তির আগেই হয়ে গেল অভিনব প্রচারপর্ব।
আরও পড়ুন: Exclusive Mimoh: দশটা জন্ম নিলেও বাবার জায়গায় পৌঁছতে পারব না: মিঠুন-পুত্র মিমো