RRR Film Release Incidents: সিনেমার পর্দা নাকি যুদ্ধক্ষেত্র? ‘আরআরআর’ রিলিজ়ের আগে স্ক্রিন ‘বাঁচাতে’ অভিনব ভাবনা সিনেমাহলের
Film Releases: সূর্য থিয়েটারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি বলেছেন, "একই ছবিতে দক্ষিণের দুই মহাতারকা কাস্ট হয়েছেন। আমরা জানি দর্শক হামলে পড়বেন। তাঁদের মঙ্গলের জন্যই এই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।"
এসএস রাজামৌলির ছবি বলে কথা। হইচই হবে না, তাও কি হয়! দর্শকের মধ্যে উত্তেজনার পারদ ওঠানামা করছে অনেকদিন থেকেই। প্যান্ডেমিক না থাকলে অনেক আগেই মুক্তি পেত ছবি। আজই সেই দিন। আজই ২৫ মার্চ। আজই মুক্তি পেল ‘আরআরআর’। ছবি মুক্তির আগে রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছে দক্ষিণ। কাঁটা তার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে সিনেমা হল। সীমান্তের কাঁটা তার এখন প্রেক্ষাগৃহেও। ভাবুন! অনেকের মনে প্রশ্ন, সিনেমার পর্দা নাকি যুদ্ধক্ষেত্র? ‘আরআরআর’ রিলিজ়ের আগে স্ক্রিন ‘বাঁচাতে’ অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে অন্ধ্রর সিনেমাহলগুলি।
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ়’ ছবির সময় দর্শক স্ক্রিনের সামনে হামলে পড়েছিলেন। সকলেরই জানা কথা, পুষ্পা গোটা দেশে রাজত্ব করেছে। সেই ছবির প্রদর্শনের সময় মারকাটারি দর্শক গুঁতোগুঁতি হয় হলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই সিনেমা হল মালিক পক্ষ ‘আরআরআর’-এর ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন, প্রেক্ষাগৃহে থাকবে কাঁটাতারে ঘেরা। কাছে এলেই খোঁচা খেতে হবে।
সূর্য থিয়েটারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি বলেছেন, “একই ছবিতে দক্ষিণের দুই মহাতারকা কাস্ট হয়েছেন। আমরা জানি দর্শক হামলে পড়বেন। তাঁদের মঙ্গলের জন্যই এই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।”
প্রচারে দিয়ে জয়পুরে রীতিমতো ‘মবড’ (অনুরাগীদের উচ্ছ্বসিত সমাবেশ) হয়েছেন রামচরণ ও জুনিয়র এনটিআর। সর্বভারতীয় স্তরেও দক্ষিণ ভারতীয় তারকাদের এমনই ক্রেজ়। জলপথে ঘুরতে-ঘুরতে অবশেষে কলকাতার গঙ্গার ঘাটে এসে উপস্থিত হয়েছেন ‘আরআরআর’ ছবির তারকারা। ‘বাহুবলী’র দুটি ছবির পর এসএস রাজমৌলির পরবর্তী ছবি ‘আরআরআর’ নিয়ে হাইপ তৈরি হয়েছে অনেকদিন ধরেই। মঙ্গলবার সকালে হাওড়া ব্রিজের সামনে গঙ্গার ঘাটে দেখা মেলে তিন তারকার। লোকে লোকারণ্য! কলকাতাপ্রীতি ব্যক্ত করলেন ‘আরআরআর’ ছবির পরিচালক ও দুই মহা-তারকা।
কলকাতার পরিবেশ সম্পর্কে জুনিয়র এনটিআর বলেছেন, “আমি এবার আর স্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারলাম না। কিন্তু পরেরবার ওঁকে নিয়ে আসব। বাংলার তৈরি শাড়ি পরার ওঁর অনেক দিনের ইচ্ছা। ওঁকে নিয়ে এসে শাড়ি কিনে দেব।” কেবল শাড়ি নয়, খাদ্যরসিক জুনিয়র এনটিআর পছন্দ করেন নানাস্বাদের বাঙালি-ভোজও।
রামচরণের কাছে কলকাতা অজানা শহর নয়। বহুবছর আগে দক্ষিণী ছবি ‘নায়ক’-এর শুটিংয়ে এসেছিলেন তিলোত্তমায়। ছোটে লাল ঘাটে শুটিং করেছিলেন তিনি। সেই সব স্মৃতিই ঘুরে ফিরে আসছিল রামচরণের স্মৃতিতে। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন মহা-তারকা।
তারপর পরিচালক এসএস রাজামৌলি এমন একজন মানুষের কথা বললেন, যাঁর নাম শুনলে সকল বাঙালির প্রাণ কেঁদে ওঠে – নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। রাজামৌলির ছবিটি দুই স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে – আল্লুরি শ্রীতারাম রাজু ও কোমারাম ভীম। একটা সময় নেতাজিও তাঁদের কাজকে সমর্থন করেছিলেন। তাঁদের বীরত্বের বাহবা জানিয়েছিলেন। সেই চরিত্র দুটিতেই অভিনয় করেছেন জুনিয়র এনটিআর ও রামচরণ। নেতাজিতেই এই ছবি উৎসর্গ করলেন রাজামৌলি।
আরও পড়ুন: Abhishek Chatterjee Demise: ‘হয়তো ওঁর মনের মধ্যে অনেক ক্ষোভ ছিল,’ কাঁদতে-কাঁদতে কেন বললেন ঋতুপর্ণা?