৫০ লাখ টাকা না পেলে রশিদ খানকে খুনের হুমকি। বাড়ির বাইরে নাকি বসানো আছে স্নাইপার রাইফেল। তেমনই জানানো হয়। ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাঁরই দুই কর্মচারী। তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফলে এবারের পুজো একেবারে ভাল কাটেনি রশিদ খান ও তাঁর পরিবারের। তেমনটাই তিনি জানিয়েছেন TV9 বাংলাকে।
রশিদ খান TV9 বাংলাকে বলেন, “এবারের পুজো আমাদের খুব খারাপ কেটেছে। দুশ্চিন্তায় কেটেছে। দীপক আউলিয়া, যে ধরা পড়েছে, সে মাত্র ৭দিন আমাদের এখানে কাজ করেছে। তবে ওই যে কাজটা করেছে, সেটা আমাদের সন্দেহ হয়েছিল। ও পয়সাকে ‘পাসা’ লেখে। হোয়াটসঅ্যাপে বার বার ‘পাসা’ লিখছিল। সেখান থেকেই আমরা ধরতে পারি কাজটা ওই করেছে। আসলে আমার বড় মেয়ে সুয়ার প্রথমে খটকা লাগে। তারপর পুলিশকে ক্লু দেয়। সেই ক্লু পেয়েই পুলিশ দীপককে ধরে।”
এই ঘটনা জানার পর অরূপ বিশ্বাস ফোন করেছিলেন রশিদ খানকে। তাতে মনের বল কিছুটা হলেও বাড়ে কিংবদন্তির। রশিদ বলেন, “ঘটনাটি জেনে আমাকে অরূপ বিশ্বাস ফোন করেছিলেন। সকলে আমাদের পাশে ছিলেন। পুলিশ অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে। আমাদের বিশ্বাস টাকার জন্য দীপক ও ড্রাইভার এই কাজটি করেছে।আমরা ভাবতেই পারছি না এরকমটা হতে পারে। আসলে এই সব ঘটনা মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে বেশি ঘটে। কলকাতাতেও যে এরকমটা হতে পারে আমাদের ভাবনার অতীত ছিল।”
৯ অক্টোবর ফোন যায় রশিদ খানের কাছে। ৫০ লাখ টাকা চাওয়া হয়। না দিলেই দেওয়া হয় খুনের হুমকি। বলা হয়, বাড়ির সামনেই বসানো আছে স্নাইপার রাইফেল। বেরলেই গুলি করা হবে।
এই ঘটনার পর নেতাজি নগর থানায় মামলা হয়। তদন্তভার নেয় গোয়েন্দা বিভাগ। অবিনাশ কুমার ভারতী নামের একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। দু’জনেই রয়েছে পুলিশি হেফাজতে। শোনা যাচ্ছে, অবিনাশ নাকি রশিদ খানের গাড়ির চালক। দীপক নাকি তাঁরই অফিসের কর্মচারী।
হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম নাম রশিদ খান। রামপুর-সহস্বান ঘরানাকে বহন করে নিয়ে চলেছেন তিনি। ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা ইনায়াত হুসেন খানের বংশধর রশিদ।
আরও পড়ুন: Rashid Khan Death Threat: রশিদজি অত্যন্ত শকে আছেন, এরকম ঘটনা তো ভাল ঘটনা নয়: রশিদ খানের স্ত্রী সোমা