AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কেন নিজের শেষ ছবি দেখতে চাননি ধর্মেন্দ্র? কারণটা খুবই বেদনাদায়ক

তাঁর প্রয়াণের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর শেষ অভিনীত ছবি ‘ইক্কিস’ (Ikkis)। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল, অভিনেতা নিজে তাঁর এই শেষ কাজটি দেখে যেতে পারলেন না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই কথাই শেয়ার করেছেন ছবির পরিচালক শ্রীরাম রাঘবন।

কেন নিজের শেষ ছবি দেখতে চাননি ধর্মেন্দ্র? কারণটা খুবই বেদনাদায়ক
| Updated on: Dec 24, 2025 | 3:39 PM
Share

গত ২৪ নভেম্বর না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্র। তাঁর প্রয়াণের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর শেষ অভিনীত ছবি ‘ইক্কিস’ (Ikkis)। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল, অভিনেতা নিজে তাঁর এই শেষ কাজটি দেখে যেতে পারলেন না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই কথাই শেয়ার করেছেন ছবির পরিচালক শ্রীরাম রাঘবন।

পরিচালক জানান, ছবির প্রোডাকশনের শেষ পর্যায়ে ধর্মেন্দ্রর শরীর বিশেষ ভাল যাচ্ছিল না। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে যখন শেষ পর্যায়ের ডাবিং চলছিল, তখনই তিনি অসুস্থ বোধ করেন।

সাক্ষাৎকারে শ্রীরাম রাঘবন ধর্মেন্দ্রর কাজের প্রতি নিষ্ঠার প্রশংসা করে বলেন, “উনি ছিলেন ওল্ড স্কুল ঘরানার অভিনেতা। নিজের সংলাপগুলো সবসময় উর্দুতে লিখে নিতেন। শুধু নিজের নয়, সহ-অভিনেতাদের সংলাপও লিখে রাখতেন তিনি। কাজের জন্য সবসময় অসম্ভব প্রস্তুতি নিতেন তিনি।”

আক্ষেপের সুরে রাঘবন জানান, ধর্মেন্দ্র ‘ইক্কিস’ ছবির মাত্র প্রথমার্ধ বা ফার্স্ট হাফ দেখতে পেরেছিলেন। পরিচালক চেয়েছিলেন অভিনেতা যেন পুরো সিনেমাটি দেখেন। রাঘবন বলেন, “অক্টোবরে যখন ওঁর সঙ্গে দেখা করি, তখন উনি ঠিকঠাক থাকলেও শরীরটা খুব একটা যুতসই ছিল না। উনি ছবির প্রথম অংশটুকু দেখেছিলেন এবং দ্বিতীয় অংশ দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ধর্মেন্দ্র চেয়েছিলেন সিনেমা হলেই ছবিটা দেখতে। স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে নয়। আমি খুব করে চেয়েছিলাম উনি পুরো কাজটা একবার দেখুন। কিন্তু কোনও ভাবে তা আর হয়ে ওঠেনি। আজ মানুষ ওঁর কাজ নিয়ে যখন প্রশংসা করবেন, তা উপভোগ করার জন্য উনি আর আমাদের মধ্যে নেই। এই আক্ষেপ আমাদের আজীবন থেকে যাবে।”

জুহুর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস গত ২৪ নভেম্বর মুম্বইয়ের জুহুর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মেগাস্টার। তাঁর প্রয়াণে বলিউডের একটি সোনালি অধ্যায়ের অবসান ঘটে। ধর্মেন্দ্রর জন্মদিনে হেমা মালিনী লেখেন, “ধরমজি, শুভ জন্মদিন আমার প্রাণের মানুষ। তুমি আমাকে একা ফেলে চলে যাওয়ার পর দুই সপ্তাহের বেশি কেটে গিয়েছে। আমি ভেঙে পড়া মনকে তিলে তিলে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছি। আমি জানি তুমি আত্মারূপে সবসময় আমার সঙ্গেই রয়েছ।”