ফাটাকেষ্টর কালীকে কী উপহার দিয়েছিলেন জয়া-অমিতাভ?
এই পুজোতে বলিউডের বহু শিল্পী এসেছেন। উপহার দিয়েছেন। অনুষ্ঠান করেছেন। তালিকায় নাম রয়েছে বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনেরও। ‘দো আনজানে’ ছবির শুটিংয়ে কলকাতায় এসে তিনি ফাটাকেষ্টের আমন্ত্রণে তিনি পুজো দেখতে যান।

ছোটখাটো গড়ন, মুখে বসন্তের দাগ, কিন্তু ক্ষমতায় বিশাল ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত—যাঁকে গোটা কলকাতা চিনত “ফাটাকেষ্ট” নামে। কলেজ স্ট্রিটের পাশে বাবার ছোট পানের দোকানে তাঁকে বসতে দেখা যেত কখনও-সখনও। কালীভক্তি ছিল তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির মঙ্গলারতিতে প্রায়ই দেখা যেত তাঁকে।
সত্তরের দশকের শুরুতে যখন শহর উত্তাল নকশাল আন্দোলনে, তখন পুলিশের পাশে অক্সিলিয়ারি ফোর্স গঠন হয়। সেই ফোর্সেরই এক সদস্য ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত। সেখান থেকেই শুরু তাঁর উত্থান। পরে ফাটাকেষ্ট হয়ে ওঠেন উত্তর কলকাতার এক দাপুটে নাম, মূলত তাঁর শক্তি, ভক্তি আর আড়ম্বরপূর্ণ কালীপুজো আজও সকলের মুখে মুখে চর্চিত।
নবযুবক সংঘের ছোট্ট পুজোকে তিনি সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটে নিয়ে এসে বিশাল আয়োজন করে বসেন। ১৬ ফুট উঁচু প্রতিমা, চন্দননগরের আলোকসজ্জা। পুজো দেখতে দূরদূরান্ত থেকেও দর্শনার্থীরা আসত, এখনও আসেন। ১২ দিন ধরে প্রতিমা থাকত মণ্ডপে, আর বিসর্জনের দিনে আয়োজন করা হতো বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার—যা ছিল এক অনন্য দৃশ্য।
এই পুজোতে বলিউডের বহু শিল্পী এসেছেন। উপহার দিয়েছেন। অনুষ্ঠান করেছেন। তালিকায় নাম রয়েছে বলিউড সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনেরও। ‘দো আনজানে’ ছবির শুটিংয়ে কলকাতায় এসে তিনি ফাটাকেষ্টের আমন্ত্রণে তিনি পুজো দেখতে যান। পরে অমিতাভ ও জয়া বচ্চনের পক্ষ থেকে মায়ের জন্য পাঠানো হয় এক হিরে বসানো নাকছাবি। যদিও তা চুরি হয়ে যায়, পরে নতুন করে তৈরি করা হয় সেই নাকছাবির প্রতিলিপি—যা আজও পুজোর অন্যতম সম্পদ।
