উত্তমকুমার হতে চেয়েছিলেন এই সংবাদ সঞ্চালক, নিজেকে কত নম্বর দেন কৃষ্ণকিশোর?
Krishna Kishore Mukherjee: অনেকদিন বিরতিতে ছিলেন অভিনেতা কৃষ্ণকিশোর মুখোপাধ্যায়। অনেকেরই ধারণা তিনি নাকি বেজায় অসুস্থ ছিলেন। সত্যিটা কি? সত্যিই কি অসুস্থ ছিলেন এই প্রাক্তন সংবাদ সঞ্চালক। সংবাদ পাঠ নিয়ে কি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন অভিনেতা?
একটা সময় টিভির পর্দায় নিয়মিত খবর পড়তে দেখা যেত অভিনেতা কৃষ্ণকিশোর মুখোপাধ্যায়কে। তারপর তিনি সঞ্চালকের চাকরি ছাড়লেন এবং পুরোপুরিভাবে মন দিলেন অভিনয়ে। সিনেমা, সিরিয়াল, ওয়েব সিরিজ়–তিনটি মাধ্যমে অভিনয় করেছেন কৃষ্ণকিশোর। কেবল পর্দা নয়, মঞ্চেও তাঁকে দেখা গিয়েছে নানা ধরনের চরিত্রে। মাঝে একটা লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন কৃষ্ণকিশোর। কেন তিনি বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন? একাংশের দশক মনে করেন, কৃষ্ণকিশোর নাকি অসুস্থ ছিলেন। সত্যিই কি তাই? নাকি তা ছিল তাঁর স্বেচ্ছায় নির্বাসন। দেখুন কৃষ্ণকিশোর কী বলছেন?
করোনার সময় মানুষ গৃহবন্দি হয়ে গিয়েছিলেন। কিছু মানুষ ছিলেন যাঁরা এই বন্দিদশা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিছু মানুষ এমনও ছিলেন, যাঁরা সেই বন্দিদশা থেকে বের হতে চাননি। কৃষ্ণকিশোর ছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ। কোভিডের সময় নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন কৃষ্ণকিশোর এবং সেই বন্দিদশা থেকে নিজেকে একেবারেই মুক্ত করতে চাননি তিনি। ফলে তাঁকে বেশ কিছুদিন কেউ দেখতে পাননি কোত্থাও। তেমনভাবে কোনও কাজও করতেন না কৃষ্ণকিশোর। ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন কৃষ্ণকিশোর।
আর অভিনয়? এই মুহূর্তে ধারাবাহিককে অভিনয় করছেন কৃষ্ণকিশোর। স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে সঞ্চালক মনে করেন না। এত জনপ্রিয় একজন টিভি প্রেজ়েন্টার হওয়া সত্ত্বেও কেন এমন কথা শোনা গেল কৃষ্ণকিশোরের কণ্ঠে? ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিনেতা। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি যখন সঞ্চালনা করতেন, তখন সবটাই স্ক্রিপ্টেড ছিল। অন্য কেউ খবর লিখে দিত, জোগাড় করে দিতে এবং তিনি অনর্গল বলে যেতেন ক্যামেরার সামনে। টিভির ওপারের দর্শক মনে করতেন কৃষ্ণকিশোর অনেক বড় সাংবাদিক, অনেক খবর জানেন এবং পরিবেশন করেন। কিন্তু কৃষ্ণকিশোর তা মনে করেন না। তিনি নিজেকে কেবলই সংবাদপাঠ অনুষ্ঠানের মুখ মনে করেন। বাকিটা যে অন্যদের কৃতিত্ব!
কৃষ্ণকিশোর এও জানিয়েছিলেন, খবর পড়াটা একটা অভিনয়। বলেছিলেন, “খবর পড়তে গিয়েই বুঝেছিলাম যে, আমি আসলে একজন অভিনেতাই। তাই অভিনয়কে বেছে নিই পেশা হিসেবে।” তিনি আবার মহানায়ক উত্তমকুমারের বিরাট বড় ভক্ত। সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানও তাঁকে টানে। নিজে মুখে বলেছেন, “উত্তম কুমারের অভিনয় দেখতাম যখন মনে হত বড় হয়ে উত্তমকুমার হব। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান শুনতাম যখন, মনে হত হেমন্তর মতো গান গাইব। তবে জানেন কি, আমি ছোটবেলায় বাস কন্ডাক্টর হতে চেয়েছিলাম। সেটাই আমার প্রথম পছন্দ ছিল।”