গুরুপত্নীর সঙ্গে পরকীয়ার শাস্তি, জানেন কী অবস্থা হয়েছিল বলিউডের এই জনপ্রিয় গায়কের?
দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। রূপ গান গাইতেন না। সোনালীর জোরাজুরিতেই গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। অল্প দিনের মধ্যেই পরিচিতি মিলতে থাকে তাঁর। সালটা ১৯৮৪, অনুপ জালোটার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার দরকার পড়ে।

বলিউডে কত কী যে হয়! কিছু সত্যি আর কিছু রটনা। তবে এই প্রতিবেদনে যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে তা একেবারেই রটনা নয়, বরং ঘোর বাস্তব। লুকিয়ে চুরিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেই যে প্রেম করে যাচ্ছেন তাঁর প্রিয় শিষ্য তা প্রথমটায় বুঝতেই পারেননি অনুপ জালোটা। ধরা পড়তেই কী হয়েছিল? কার সঙ্গেই বা প্রেম করছিলেন তাঁর স্ত্রী। তিনিও কিন্তু ‘আমআদমি’ নন। ব্যাপারটা তবে খুলেই বলা যাক। সময়টা ৮০’র দশক। সে সময় অনুপ জালোটা বলিউড কাঁপাচ্ছেন। একের পর এক গান হিট তাঁর।
তিনি বিয়ে করেছিলেন সোনালী শেঠকে। সব কিছু ঠিকই চলছিল, ঠিক এমন সময়েই কাজ শেখার ইচ্ছে নিয়ে অনুপের গ্রুপে আসেন রূপ কুমার রাঠোর। সেই রূপ কুমার, জেন ওয়াইয়ের কাছে যিনি আজও পছন্দের তালিকায়। পন্ডিত চতুর্ভুজ রাঠোরের ছেলে রূপকুমার অনুপের দলে তবলা বাজাতেন। সেখান থেকেই সোনালীর সঙ্গে আলাপ তাঁর। তবলায় তাঁর দক্ষতা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন সোনালী।
দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। রূপ গান গাইতেন না। সোনালীর জোরাজুরিতেই গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। অল্প দিনের মধ্যেই পরিচিতি মিলতে থাকে তাঁর। সালটা ১৯৮৪, অনুপ জালোটার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার দরকার পড়ে। ঠিক ছিল সঙ্গে যাবেন সোনালীও। তবে শেষ মুহূর্তে সেই প্ল্যান বাতিল করে দেন সোনালী নিজেই। ওই সময়েই গল্প মোড় নেয় অন্য দিকে। দু’জনেই বুঝতে পারেন তাঁদের মধ্যেকার সম্পর্ক নেহাতই বন্ধুত্ব নয়, বরং তাঁর চেয়ে খানিক বেশি। সেখানে রয়েছে এক অব্যক্ত ভালবাসার বন্ধন।
অনুপ দেশে ফিরতেই সত্যি সামনে আসে। বুঝতে পেরেই মারাত্মক রেগে যান অনুপ। শোনা যায়, প্রযোজক থেকে শুরু করে সঙ্গীত পরিচালক– সবাইকে তিনি অনুরোধ করতে থাকেন রূপকে যেন কিছুতেই সুযোগ দেওয়া না হয়। বেকায়দায় পড়েন রূপ। তবে সোনালী তাঁকে ছেড়ে যাননি। বরং তিনি ছেড়ে দেন তাঁর পরিবার। ছাড়েন অনুপ জালোটাকে। ১৯৮৯ সালে দু’জনে বিয়ে করেন। সে সময় ইন্ডাস্ট্রি রূপকে প্রায় ব্রাত্য করেই রেখেছিল। যদিও সময় কারও এক থাকে না। ক্রমে সম্পর্ক সহজ হতে থাকে। কাজ পেতে শুরু করেন রূপ কুমার। বলিউডে তৈরি করেন নিজস্ব পরিচিতি।
