AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘গঙ্গায় আমার ছাই ভাসিয়ো না, পাহাড়ে ছড়িয়ে দিও’, কবিতা লিখলেন কঙ্গনা

যে কবিতার পরতে পরতে মৃত্যু। মৃত্যুর বিলাসিতা নয়, উদযাপন।

'গঙ্গায় আমার ছাই ভাসিয়ো না, পাহাড়ে ছড়িয়ে দিও', কবিতা লিখলেন কঙ্গনা
পাহাড়ের কোলে কঙ্গনা।
| Updated on: Dec 27, 2020 | 6:53 PM
Share

কবিতা লিখলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। শুধু লিখলেনই না। পাঠও করলেন তিনি। যে কবিতার পরতে পরতে মৃত্যু। মৃত্যুর বিলাসিতা নয়, উদযাপন। সাদা পাহাড়ে বরফ গায়ে মেখে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন কঙ্গনা। তাঁর কোঁকড়া চুলে আটকে যাচ্ছে বরফের কুচি।

কবিতার নাম ‘রাখ’। হিন্দি শব্দ ‘রাখ’-এর বাংলা মানে ‘ছাই’। কবিতার প্রথম লাইনে কঙ্গনা লিখছেন, “আমার ছাই গঙ্গায় ভাসিয়ে দিও না তোমরা…”। কিন্তু কেন? সে উত্তরও নিজেই দিয়েছেন কবিতায়। “সব নদীই গিয়ে সাগরে মেশে। সাগরের গভীরতাকে আমি ভয় পাই…আমি যে আকাশ ছুঁতে চাই…তাই আমার ছাইকে সূর্য ডুবলে এই পাহাড়ে ছড়িয়ে দিও”, লিখেছেন তিনি। শেষ দু’টি লাইন আরও তাৎপর্যপূর্ণ। কঙ্গনার কথায়, “মন খারাপ হলে পাহাড়ের গায়ে ছড়িয়ে থাকা ছাই ছোঁব আমি, চাঁদের সঙ্গে গল্প করব…আমার ছাই দূরে আকাশ যেখানে পাহাড়ে মিশেছে সেখানেই ছড়িয়ে দিও”।

কঙ্গনা পাহাড়ি মেয়ে। হিমাচলের সবুজ উপত্যকা, নীল পাহাড় আর দুধসাদা বরফে বেড়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর কেরিয়ারে বিতর্ক তাঁর নিত্যসঙ্গী। সুশান্তের মৃত্যু হোক অথবা কৃষক আন্দোলন… নিজের মত প্রকাশ করে তিনি থেকেছেন শিরোনামে। তবু মন তাঁর আটকে পাহাড়েই। মুম্বইয়ের জাঁকজমক নয়, জুহু বিচের উল্লাস অথবা পেজ থ্রি’র উন্মাদনা নয়… মৃত্যুর পরেও কঙ্গনা জাপটে ধরতে চান তাঁর প্রিয় পাহাড়কেই। আরব সাগরের সুবিশাল ব্যপ্তি, অতল গভীরতা তাঁকে আকর্ষণ করতে পারেনি। তাঁর পছন্দ তাঁর ফেলে আসা আশ্রয়…তাঁর শৈশবের আবাসস্থল আর ভালবাসার পাহাড়…