বেঁচে গেলেন সঞ্জয় ‘হতাশ’ কিঞ্জল
RG Kar Case Verdict: ফাঁসি হল না সঞ্জয় রাইয়ের। গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। গত ৫ মাস ধরে এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলেন গোটা শহরবাসী। সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। বিচার শুনে কিঞ্জল বললেন...
ফাঁসি হল না সঞ্জয় রাইয়ের। গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। গত ৫ মাস ধরে এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলেন গোটা শহরবাসী। সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। জানানো হয়েছে, ৬৪, ৬৬ ও ১০৩ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলেও এগুলি বিরল ঘটনা নয়। আরজি কর কাণ্ডের ন্যায় বিচার নিয়ে দফায় দফায় প্রতিবাদ হয়েছে। এই প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন কিঞ্জল নন্দ। যিনি একদিকে যেমন চিকিত্সক তেমনই আবার দক্ষ অভিনেতাও। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সোমবার রায় বেরনোর পর কী বলছেন কিঞ্জল? ন্যায় বিচার কি পেল তিলোত্তমা?
কিঞ্জল বললেন, “যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আমরা কখনও চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম চরম থেকে চরমতম শাস্তি। যেই দোষী হোক না কেন। নিশ্চয়ই এটা নিয়ে আবার উচ্চতর আদালতে যাওয়া হবে। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম চরম থেকে চরমতম শাস্তি মানে মৃত্যুদণ্ড।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা আগেও বলেছি যা যা তথ্য আছে তাতে অনেক প্রশ্ন ওঠে। যে প্রশ্নের উত্তর আমরা এখনও পাইনি। ” তাহলে তাঁদের এত দিনের অন্দোলন কি ব্যর্থ? কিঞ্জলের কথায় এই রায় সত্যিই তাঁদের অনেকটা হতাশ করেছে। আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে চরমতম শাস্তির দাবি জানিয়ে এসেছেন কিঞ্জল। এই বিচারে যে তাঁরা একেবারেই খুশি নন তেমনটাই জানালেন অভিনেতা তথা চিকিত্সক।
উল্লেখ্য, শনিবার সঞ্জয়কে কাঠগড়ায় তুলে বিচারক জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের জন্য মৃত্যু), ১০৩(১) (খুন) ধারায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে টলিপাড়ার একাংশের দাবি ছিল, ধনঞ্জয়ের সময়ে যে ধন্দ তৈরি হয়েছিল সঞ্জয়ের সময়ও ঠিক তেমনই ধন্দ তৈরি হয়েছে।