‘পোষ্যকে চেন দিয়ে বেঁধে রাখার জন্য ঘরে আনবেন না’, বলছেন পোষ্যের মা মিমি
মিমি যোগ করলেন, ''পেট পেরেন্ট হওয়া আর একজন সন্তানের জন্ম দেওয়ার মধ্য়ে যে আবেগের মিল আছে, সেটা অনেকে বোঝেন না। আমি তাঁদের কথাও বলব, যাঁরা দিনরাত রাস্তার কুকুরদের পাশে থাকেন। তাঁদের মাতৃত্ব বা পিতৃত্ব প্রশংসার দাবি রাখে। আর এটা বলতে চাই, কোনও পোষ্যকে বাড়িতে এনে চেন দিয়ে বেঁধে রাখতে চাইলে, তাকে ঘরে আনবেন না। পোষ্যকে সন্তানের মতো করে বড় করতে না পারলে, তার দায়িত্ব না নেওয়াই ভালো। কোনও প্রাণের, সেটা গাছ হোক বা মানুষ বা প্রাণী, দায়িত্ব নিলে অবহেলা করবেন না।''

তিন পোষ্যের মা নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। মাদার্স ডে-র মরসুমে তাঁর সেলিব্রেশন ছিল তিন পোষ্যকে নিয়েই। মা হওয়ার এই জার্নি থেকে কী উপলব্ধি করলেন নায়িকা? মাদার্স ডে-তে TV9 বাংলার প্রশ্নের উত্তরে মিমি জানালেন, ”আমি জলপাইগুড়িতে ছোটবেলা থেকে পোষ্য়দের মধ্যে বড় হয়েছি। আমাদের বাড়িতে একটা বিড়াল ছিল। তার অনেক বাচ্চাও ছিল। আমার বড়মামা কুকুরদের খাওয়াতে ভালোবাসত। আমি যখন স্কুলে যেতাম, আমার হাতে বিস্কুটের বক্স দিয়ে দেওয়া হতো। আমি কুকুরদের সেটা খাওয়াতাম। সেই সময়ে অনেক পাখি আহত হয়ে পড়ে থাকত। তাদের জল খাইয়ে সুস্থ করে রাখতাম। ছোটবেলা থেকে প্রথম যেটা শিখেছি, পোষ্যর মালিক হওয়া যায় না। আমাদের বাবা-মায়েরা মনে করেন না, তাঁরা আমাদের মালিক। তাঁরা আমাদের অভিভাবক। পোষ্য রাখতে গেলেও, মালিক না হয়ে, তাঁর অভিভাবক হতে হবে, এই ধারণা আমার মনের মধ্যে তৈরি হয়েছিল ছোট থেকে।” পেট-পেরেন্ট হওয়ার পদ্ধতিটা কীরকম? মিমি বলছেন, ”পোষ্যদের মা হয়ে আমি বুঝেছি, তাঁদের বড় করা একজন মানুষের সন্তানকে বড় করার মতোই। পোষ্যরা কথা বলতে পারে না। তাই তাদের মনের ভাব বুঝে নেওয়ার কাজ সহজ নয়। মানুষকে যেমন পড়াশোনা শিখিয়ে বড় করতে হয়, তেমন পোষ্য়দের যাবতীয় ট্রেনিং আমি নিজে করিয়েছি। আমার বেডরুমে থাকে ওরা। ওদের শরীর খারাপ হলে সারা রাত জেগে থাকি। যে কোনও কাজে গেলেও সারাক্ষণ খেয়াল রাখতে হয়। চিরকাল চেয়েছিলাম, নিঃস্বার্থভাবে কেউ আমাকে ভালোবাসবে। সেটা যেমন ওদের থেকে পাই, তার জন্য দায়িত্বও নিতে হয়।”
এরপর মিমি যোগ করলেন, ”পেট পেরেন্ট হওয়া আর একজন সন্তানের জন্ম দেওয়ার মধ্য়ে যে আবেগের মিল আছে, সেটা অনেকে বোঝেন না। আমি তাঁদের কথাও বলব, যাঁরা দিনরাত রাস্তার কুকুরদের পাশে থাকেন। তাঁদের মাতৃত্ব বা পিতৃত্ব প্রশংসার দাবি রাখে। আর এটা বলতে চাই, কোনও পোষ্যকে বাড়িতে এনে চেন দিয়ে বেঁধে রাখতে চাইলে, তাকে ঘরে আনবেন না। পোষ্যকে সন্তানের মতো করে বড় করতে না পারলে, তার দায়িত্ব না নেওয়াই ভালো। কোনও প্রাণের, সেটা গাছ হোক বা মানুষ বা প্রাণী, দায়িত্ব নিলে অবহেলা করবেন না।”





