Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কাকদ্বীপে ত্রাণ তুলে দিচ্ছেন ‘বং গাই’, “সাধ্যমতো দাঁড়াব মানুষের পাশে” বললেন কিরণ দত্ত

কিরণ বললেন, "এখানকার মানুষ এত অসহায় যে মাঠে না নেমে তা চোখে দেখলে বুঝতে পারতাম না।"

কাকদ্বীপে ত্রাণ তুলে দিচ্ছেন 'বং গাই', সাধ্যমতো দাঁড়াব মানুষের পাশে বললেন কিরণ দত্ত
কিরণ দত্ত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2021 | 5:05 PM

ফিল্ম-টেলিভিশনের পাশপাশি ইউটিউবও বিনোদনের অনেকখানি জায়গা ধরে রেখেছে। ইউটিউব চ্যানেলগুলোর রমরমাও কম নয়। বাংলায় তেমনই এক ইউটিউবার ‘বং গাই’। এক নামে বং গাই অর্থাৎ কিরণ দত্তকে চেনে নেট সমাজ। সেই কিরণ এবার নেমেছেন মাঠে। পাশে দাঁড়িয়েছেন একাধিক মানুষের। পূর্ণিমার ভরা কোটাল আর ইয়াসের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে সমগ্র সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকা। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে প্রচুর বাড়িঘর। চালচুলোহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিরণ। ছুটে গিয়েছেন কাকদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলে। আজ, রোববার কিরণ এবং টিম-থ্রি—দ্য ট্রাভেল ট্রটার্স নামক এক ফেসবুক পেজের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, চাল-ডাল-ছাতু জাতীয় শুকনো খাবারদাবার। হাতে হাতে পৌঁছে গিয়েছে মাস্ক-স্যানিটাইজারও।

 

 

আরও পড়ুন গ্রামগুলোর ভিতরে আসুন, সুন্দরবনে ত্রাণ দিতে গিয়ে সাহায্যকারীদের আবেদন সুদীপ্তার

 

 

কিরণ তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের এক ছবি পোস্ট করে লেখেন, “আগের বার করোনার সময় আর আম্ফানের সময় শুধু এসি ঘরে বসে টাকাই দিতে পেরেছি। সেটায় তৃপ্তি নেই। তাই কথা মতো এবার শুধু টাকা পাঠিয়ে কাজ শেষ নয় , যা করছি মাঠে নেমে। আজ এসছি কাকদ্বীপে ৩০০ পরিবারের কাছে।পরবর্তীতে জানিনা কোথায়। ফান্ডিং এর আমাদের দরকার নেই। কেউ সময়,পরিশ্রম দিতে পারলে জানাবেন আর আমি কোথাও গিয়ে কিছু করতে পারলে সেটাও। আমার রাস্তাঘাট সম্পর্কে খুব সীমিত জ্ঞান।আজ গেছি Team T3 – The Travel Trotters এর দাদাদের সাথে। ওদের অনেক ধন্যবাদ।সমস্ত ক্রেডিট ওদের।”

 

বং গাই ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা।

মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগ প্রথমবার নয়। করোনার সময় ১ লক্ষ টাকা অনুদান হিসেবে জমা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তারপর আমফানের সময় বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে অর্থ দান করেছন কিরণ। Tv9 বাংলার পক্ষ থেকে তাঁকে ফোনে ধরা হলে কিরণ বলেন, “জল এখনও নামেনি বহু জায়গায়। চাষের জমির অবস্থার খুব খারাপ।

 

 

ত্রাণ-সামগ্রী

 

এখানকার মানুষ এত অসহায় যে মাঠে না নেমে তা চোখে দেখলে বুঝতে পারতাম না। আজ আামার বন্ধুবান্ধবরা সুন্দরবনের আরেক প্রান্তে ত্রাণের কাজ করছে। একবার এখানে এসে ত্রাণ বিলি করে শান্তি হয়নি। আমি আবার আসব। নিজের সাধ্যমতো দাঁড়াব মানুষের পাশে। যা-ই করি না কেন খুব কম হবে তা এ সময়ে। তা-ও চেষ্টা চালিয়ে যাব।”