গ্রামগুলোর ভিতরে আসুন, সুন্দরবনে ত্রাণ দিতে গিয়ে সাহায্যকারীদের আবেদন সুদীপ্তার
সুদীপ্তা বলেন, “জল কিছুটা নেমেছে, কিন্তু বাড়ি ঘরদোর অবস্থা ভীষণ খারাপ। বলে বোঝানো যাবে না কী অবস্থা। সব তছনছ হয়ে গিয়েছে। প্লাস্টিক-চট-ত্রিপল বেঁধে দিন কাটাচ্ছেন।”
দুলকি সেখান থেকে সোনাগাঁ তারপর পাখিরালয় তারপর জটিরামপুর, ফেরার পথে দুলকি এবং গোসাবার অন্যদিক। ম্যাপ রুটটা ঠিক এরকম। পূর্ণিমার ভরা কোটাল আর ইয়াসের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে সমগ্র সুন্দরবন উপকুলবর্তী এলাকা। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে প্রচুর বাড়িঘর। অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী, পরিচালক ইন্দ্রাশিষ আচার্য্য, এডিটর অনির্বাণ মাইতি এবং একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন সুন্দরবনের ‘চালহীন, চুলোহীন’ মানুষগুলোর কাছে। শুধু শুকনো খাবারদাবার নয়, রয়েছে ওষুধপত্তর। সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় বসেছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। প্রচেষ্টা একটাই আরও আরও মানুষের কাছে সাহায্যের হাতগুলো পৌঁছে দেওয়ার।
আরও পড়ুন বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার দিতে আসা ‘অশোক’ পরের ছবির অভিনেতা! কী বলছেন পরিচালক অতনু ঘোষ
Tv9 বাংলার পক্ষ থেকে ফোনে সুদীপ্তাকে ধরা হলে তিনি বলেন, “জল কিছুটা নেমেছে, কিন্তু বাড়ি ঘরদোর অবস্থা ভীষণ খারাপ। বলে বোঝানো যাবে না কী অবস্থা। সব তছনছ হয়ে গিয়েছে। প্লাস্টিক-চট-ত্রিপল বেঁধে দিন কাটাচ্ছেন।” নদীর পাড়ে থাকা মানুষগুলো বেশি পরিমাণে ত্রাণ পাচ্ছেন, কারণ যাঁরা ত্রাণ দিতে আসছেন তাঁরা ভিতর দিকে ঢুঁকছেন না। তা-ই সমস্যায় পড়ছেন ইন্টেরিয়রে থাকা মানুষগুলো। সুদীপ্তা সমস্যার কথা তুলে ধরে বললেন, “পাড়ের কাছে থাকা মানুষগুলো স্টক করতে শুরু করেছেন। ওঁদেরও কিছু করার নেই। কিন্তু ভিতর দিকে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের অবস্থা আরও করুণ। চাষের মাটিও জলের তলায় রয়েছে। জল মানছে না। মাথার উপর আড়ালের কোনও জায়গা নেই। আমরা জটিরামপুর নেমে ভ্যানে করে আরও ভিতর দিকে ঢুঁকে মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দেব।” যাঁরা ত্রাণের উদ্যোগে সামিল হয়েছেন, তাঁদের কাছে সুদীপ্তার আবেদন, “আপনারা একটু গ্রামের ভিতর দিকে এসে ত্রাণ দিন। ওঁদের অবস্থা সত্যিই আরও খারাপ।”
সুদীপ্তা এবং তাঁর অ্যাক্টিং অ্যাকাডেমির সদস্য এবং একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সামিল হয়েছে উদ্যোগে। হাতে হাতে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, ত্রিপল, চাল, চিঁড়ে, বাতাসা, গুড়, বিস্কুট, পানীয় জল, ওষুধপত্র। শুধুমাত্র একবার সুন্দরবনে ত্রাণ দিতে আসেননি সুদীপ্তা, বললেন, “তিন-চার সপ্তাহ পর, জল কিছুটা নামার পর ফের আসব।”