Devlina Kumar: সেট পরীক্ষায় ফার্স্ট, তৃণমূল-বিধায়ক বাবা করিয়ে দেয়নি, জবাব দেবলীনার
Devlina Kumar: বাবা দেবাশিস কুমার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহল। একাধারে তিনি বিধায়ক, মেয়ের পারিষদ এবং তৃণমূল নেতা।
বাবা দেবাশিস কুমারের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহল। একাধারে তিনি বিধায়ক, মেয়র পারিষদ এবং তৃণমূল নেতা। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যখন উত্তাল রাজ্য তখন তাঁর মেয়ে দেবলীনা কুমারের একটি পোস্ট ঘিরে রীতিমতো হইচই। সেট পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন দেবলীনা। তাঁর সাফ কথা, “বাবা করিয়ে দেয়নি”। স্পষ্ট করেছেন বাবার রাজনৈতিক যোগের সঙ্গে তাঁর ফলাফলের কোনও সম্পর্ক নেই। আট বছর আগে সেট দিয়েছিলেন দেবলীনা। পরীক্ষার ফলাফল শেয়ার করে দেবলীনা লেখেন, “মোবাইলে এই স্ক্রিনশটটা খুঁজে পেলাম। ৮ বছর হয়ে গেল সেট অর্থাৎ স্টেট এলিজিবেলিটি টেস্টে বসেছিলাম। প্রথমও হয়েছিলাম আমি।” এরপরেই তিনি লেখেন, “যারা জানেন না, তাঁদের বলে রাখি পিএইচডিতে বসার জন্য, এটি একটি অনলাইন পরীক্ষা। অনলাইন বললাম যাতে আবার কিছু মানুষ না ভাবে, বাবা করিয়ে দিয়েছে।” একই সঙ্গে সেট পরীক্ষা কীভাবে হয় সে ব্যাপারেও বিস্তারিত জানিয়েছেন দেবলীনা। তিনি যোগ করেন, “এই পরীক্ষায় দুটি পেপার রয়েছে। প্রথম পেপারটি ইংরেজি ও অঙ্কের। দ্বিতীয়টি যে বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছি সেই পেপারটি। বিজ্ঞান, কলা সবার জন্য প্রথম পেপারটি কিন্তু এক। এইগুলো মাঝে মধ্যে খুঁজে পেলে মনে হয় অতটাও মূর্খ নই। পেটে একটু হলেও বিদ্যে আছে।”
এই মুহূর্তে নাচ নিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন দেবলীনা। একই সঙ্গে তিনি অধ্যাপিকাও। খুব শীঘ্রই শেষ হবে তাঁর পিএইচডি, নামের আগে বসবে ডক্টরেট উপাধি। তবে তাঁর এই পোস্টে অনেকেরই প্রশ্ন, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যখন উঠে আসছে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম, বাতিল করা হচ্ছে ভুয়ো শিক্ষকদের, সেই ‘ভয়’-এই আগে ভাগে নিজের রেজাল্টে ‘স্বচ্ছতা’ সম্পর্কে সকলকে জানিয়ে রাখলেন দেবলীনা?
প্রসঙ্গত, বিধায়ক কন্যা হওয়ায় মাঝেমধ্যেই ট্রোলের মুখে পড়তে হয় দেবলীনাকে। এর আগে এ প্রসঙ্গে তিনি মুখ খুলেছিলেন। দেবলীনা বলেন, বিধায়ক-কন্যা আরও বলেছেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ট্রোলিং হয় আমাকে নিয়ে। বলা হয় যে আমি বিধায়ক কন্যা এবং এই মুহূর্তে উত্তরকুমারের নাত বউ বলেই আমি প্রচণ্ড প্রিভিলেজড। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এর অনেক নেগেটিভ পয়েন্টস আছে। আমাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। খালি মনে হয়, আমি যা-যা করছি, কিংবা যেভাবে নিজেকে মেলে ধরছি, সেটা হয়তো অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। এবং বিশ্বাস করুন, আমি ভীষণ সফ্ট টার্গেট। মনে করি, আমাকে অনেক কিছু সহজেই শোনানো যায়। ট্রোলাররা কাজ কখন করেন আমি জানি না। তাঁদের একটা ধারণা আছে, তাঁরা সেলেব্রিটিদের যা খুশি তাই বলতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আমরা টার্গেট হই। আমি একটু বেশিই টার্গেট হই।”