গ্রুপফি তুলছেন আরতুরিতো। হ্যাঁ, মানি হাইস্ট-এর আরতুরিতো। প্রফেসর, অ্যালিসিয়া, বার্লিন সহ আরও কয়েকজন রয়েছেন সেই ফ্রেমে। ঠিক এমনই এক ছবি রবিবার ওয়েব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স শেয়ার করল।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ওয়েব সিরিজ ‘মানি হাইস্ট’-এর পঞ্চম সিজনের প্রথম ভাগ মুক্তি পেয়েছে গত ৩ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যেই হয়তো অনেকে দেখে ফেলেছেন। কোনও চরিত্রকে ভাল লেগেছে, কোনও চরিত্রকে দর্শকের তেমন পছন্দ হয়নি। তবে আরতুরিতোকে প্রথম কয়েকটা সিজনে যেমন ঘৃণা করেছিলেন দর্শক, এই সিজনেও তার ব্যতিক্রম হল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো এই চরিত্রের উপর রাগ প্রকাশ করেছেন দর্শক।
পঞ্চম সিজন মুক্তির পর বিভিন্ন ভাবে দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছেন অভিনেতারা। ভার্চুয়ালি যোগাযোগ এখন হাতের মুঠোয়। যাঁরা ইতিমধ্যেই প্রথম ভাগ দেখে ফেলেছেন তাঁদের অপেক্ষা শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ভাগের জন্য যা মুক্তি পাবে ডিসেম্বরে।
কিছুদিন আগে ইলেকট্রনিক ডান্স মিউজিক ইডিএম শিল্পী নিউক্লেয়া তৈরি করেছেন ‘মানি হাইস্ট’ অ্যান্থেম। হিন্দি, তামিল এবং তেলগু ভাষায় সে গানে পারফর্ম করেছেন এই তিন ইন্ডাস্ট্রির নামজাদা শিল্পীরা। মূল শো ইংরেজিতে তৈরি নয়, অথচ জনপ্রিয়তার খাতিরে যে ভাবে প্রাদেশিক ইন্ডাস্ট্রির তরফে প্রাদেশিক ভাষা ব্যবহার করে এর প্রচার হল, তা নিঃসন্দেহে নতুন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সিনে ইন্ডাস্ট্রির বহু মানুষ। নিউক্লেয়া, যাঁর আসল নাম উদয়ন সাগর, এই কাজের প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমি মানি হাইস্টের অনেক বড় অনুরাগী। তাই এই অ্যান্থেমের উপর কাজ করা আমার কাছে মজার। যাঁরা এই সিরিজ ভালবাসেন, সেই সমস্ত অনুরাগীদের এখন মনের অবস্থা যেমন, আমি ঠিক সেটাই এই অ্যান্থেমে দেখানোর চেষ্টা করেছি।”
‘মানি হাইস্ট’ সিজন-৫ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে স্রষ্টা অ্যালেক্স পিনা এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, “আমরা যখন মহামারীর মাঝে সিজন ৫ লিখতে শুরু করি তখন আমরা অনুভব করেছি যে দশ পর্বের সিজন থেকে প্রত্যাশিতভাবে আমাদের পরিবর্তন করতে হয়েছিল এবং তার জন্য আমরা সব কিছু করেছি। প্রথম পর্বে আমরা আমরা এটাকে আরও সেনসেশন আরও আক্রমণাত্মক করে তুলেছি। দ্বিতীয় পর্বে আমরা চরিত্রগুলোর সংবেদনশীল পরিস্থিতির উপর আরও বেশি ফোকাস করি। এটি তাঁদের সংবেদনশীল মানচিত্রের এক যাত্রা যা আমাদের সরাসরি তাঁদের প্রস্থানের সঙ্গে কানেক্ট করে।”
আদতে এটি স্প্যানিশ ক্রাইম ড্রামা। সাম্প্রতিক অতীতে নেটফ্লিক্সে ইংরেজি ব্যতীত অন্য ভাষায় সবচেয়ে বেশি দেখা ওয়েব সিরিজের রেকর্ড রয়েছে ‘মানি হাইস্ট’-এর ঝুলিতেই। এর চতুর্থ সিজন সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। ৬৫ মিলিয়ন ভিউ হয়েছিল সেই সিজনের। এক বিবৃতিতে নির্মাতা তথা এক্সজিকিউটিভ প্রোডিউসার অ্যালেক্স পিনা বলেন, “আমরা প্রায় এক বছর সময় নিয়ে ভেবেছিলাম, এই টিম কী ভাবে ভাঙব। কীভাবে প্রফেসরকে প্রায় দড়ির উপর বসিয়ে রাখব। কীভাবে বিভিন্ন চরিত্রের পরিবর্তন না করে পরিস্থিতি তৈরি করা যায়। তারই ফলাফল পঞ্চম সিজনে দেখতে পাবেন আপনারা। যুদ্ধ শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এটাও বলতে পারি, এই সিজনেই উত্তেজনা সবথেকে বেশি। এই সিজনই সবথেকে মনে রাখার মতো।”
আরও পড়ুন, ‘সন্তানকে ব্রেস্ট ফিডিং করাতে পারছো না’, সমালোচনা করেন কিশওয়ারের আত্মীয়রা!