Mirzapur: ‘দর্শককে বীণা ত্রিপাঠির প্রণাম’, হঠাৎ ‘মির্জাপুর’-এর প্রসঙ্গে কেন তুললেন রসিকা?
Rasika Dugal: কালিন ভাইয়া, মুন্না ভাইয়া, গুড্ডু পন্ডিত, গোলু, মকবুল, বীণা ত্রিপাঠি, লালা-র মতো চরিত্ররা ‘মির্জাপুর ২’ জুড়ে ছিল। আমাজন প্রাইম প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছিল এই সিরিজ।
বীণা ত্রিপাঠিকে মনে পড়ে? ঠিকই ধরেছেন ওয়েব সিরিজ ‘মির্জাপুর’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্র কালিন ভাইয়ার স্ত্রী বীণা। অর্থাৎ অভিনেত্রী রসিকা দুগল। শনিবার হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো শেয়াক করেছেন রসিকা। সেখানে বীণা চরিত্রের কিছু মুহূর্ত ধরা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ‘মির্জাপুর’-এর সকল অনুরাগীকে বীণার তরফ থেকে প্রণামও জানিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ ‘মির্জাপুর’-এর প্রসঙ্গে কেন উল্লেখ করলেন রসিকা?
আসলে আজ ‘মির্জাপুর ২’-এর এক বছর পূর্ণ হল। এক বছর আগে আজকের দিনেই মুক্তি পেয়েছিল এই ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পার্ট। তুমুল সাফল্য পেয়েছিল এই সিরিজ। তাই দর্শকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রসিকা। কালিন ভাইয়া, মুন্না ভাইয়া, গুড্ডু পন্ডিত, গোলু, মকবুল, বীণা ত্রিপাঠি, লালা-র মতো চরিত্ররা ‘মির্জাপুর ২’ জুড়ে ছিল। আমাজন প্রাইম প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছিল এই সিরিজ।
View this post on Instagram
দর্শকের চাহিদা মেনেই শুরু হয়ে গিয়েছে ‘মির্জাপুর ৩’-এর কাজ। আমাজন কর্তৃপক্ষের তরফে আগেই এই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। পঙ্কজ ত্রিপাঠি, দিব্যেন্দু শর্মা, আলি ফজল, রসিকা দুগল, শ্বেতা ত্রিপাঠি, রাজেশ তাইলঙ্গের মতো অভিনেতারা মির্জাপুরের প্রথম সিজনে অভিনয় করেছিলেন। দ্বিতীয় সিজনও তাঁদের অভিনয়ে সমৃদ্ধ। এই সিজনে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন বিজয় ভার্মা, প্রিয়াংশু পেনইউলি, ঈশা তলওয়ারের মতো শিল্পীরা। প্রায় প্রতিটি চরিত্রের পরতে পরতে লুকিয়ে ছিল ভিন্ন গল্প। তেমনই দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন তাঁরা। আমাজনের তরফে জানানো হয়, দ্বিতীয় সিজন দর্শকের বেশি ভাল লেগেছে। মোট যত দর্শক দ্বিতীয় সিজন দেখেছেন, তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশ দেখে ফেলেছিলেন মুক্তি পাওয়ার দু’দিনের মধ্যেই। যার মাধ্যমেই বোঝা গিয়েছিল, কতটা অপেক্ষা লুকিয়ে ছিল। এক্সেল এন্টারটেনমেন্টের প্রযোজন রীতেশ সিধওয়ালি বলেছিলেন, “দুটো সিজনের পর মির্জাপুর গ্লোবাল সেনসেশন হয়ে গিয়েছে। দর্শকের ভালবাসার প্রমাণ আমরা পেয়েছি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। আমরা এই বিপুল সাড়া পেয়ে সত্যিই কৃতজ্ঞ।”
‘মির্জাপুর’-এর দুটি সিজনেই আলি চমৎকার কাজ করেছেন। সিজন ওয়ানের শুটিংয়ে নাকি এক শিশুর ফোন ভেঙে দিয়েছিলেন। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে সেই স্মৃতি শেয়ার করতে গিয়ে আলি বলেন, “প্রথম সিজনে আমার মনে আছে, প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ওয়ার্ক আউট করতাম। ১৪ ঘণ্টা শুটিং হত আমাদের। ঘুম হত না। ফলে কোনও কোনও সময় রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকত না। রাগের বশে বড় ভুলও করেছিলাম। আমরা একটা ছোট শহরে শুটিং করছিলাম। একটি বাচ্চা ছেলে সমানে ফোনে রেকর্ডিং করছিল। আমি বারণ করেছিলাম। শুটিং চলছে। পরে আমরা একসঙ্গে ছবি তুলব। কথা শোনেনি। ওর ফোন নিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলাম। ফোনটা ভেঙে গিয়েছিল।” আলি আরও জানান, ওই ঘটনার পর নিজের ভুল তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। সেই ছেলেটিকে একটি ফোন কিনে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন, Shilpa Shetty: রাজকে ছাড়াই সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে গেলেন শিল্পা, সম্পর্কে কি ভাঙন?