Samantha Prabhu: ‘অন্য প্রেম, গর্ভপাত’, ভুয়ো ব্যক্তি আক্রমণের প্রতিবাদে মুখর সামান্থা

Samantha Prabhu: সামান্থা বলেন, ‘বিচ্ছেদ অত্যন্ত যন্ত্রণাময় একটি পদ্ধতি। এই সময়টা আমাকে নিজের মতো করে সামলে নেওয়ার সুযোগ দিন। নিরলস ব্যক্তি আক্রমণ হয়ে চলেছে। কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করছি, এ সব কিছু আমাকে ভাঙতে পারবে না।’

Samantha Prabhu: 'অন্য প্রেম, গর্ভপাত', ভুয়ো ব্যক্তি আক্রমণের প্রতিবাদে মুখর সামান্থা
সামান্থা প্রভু।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2021 | 8:19 PM

দিন কয়েক আগেই নাগা চৈতন্যের সঙ্গে দাম্পত্য বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন সামান্থা প্রভু। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তিনি। ট্রোলিংয়ে বিপর্যস্ত নায়িকা বাধ্য হয়ে নিজের বক্তব্য লিখিত আকারে প্রকাশ করলেন।

সামান্থা লিখেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কঠিন সময়ে মানসিক ভাবে যে আপনারা পাশে ছিলেন, তাতে আমি অভিভূত। সমবেদনা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভুয়ো কিছু গল্প রটানো হচ্ছে। তারও প্রতিবাদ করেছেন, সে জন্যও ধন্যবাদ। অনেকেই বলছেন, আমার অন্য প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি কখনও সন্তান চাইনি। আমি সুবিধাবাদী এবং গর্ভপাত করিয়েছি। এই ভুয়ো রটনার প্রতিবাদ যাঁরা করেছেন, তাঁদের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সামান্থা।’

সামান্থা আরও বলেন, ‘বিচ্ছেদ অত্যন্ত যন্ত্রণাময় একটি পদ্ধতি। এই সময়টা আমাকে নিজের মতো করে সামলে নেওয়ার সুযোগ দিন। নিরলস ব্যক্তি আক্রমণ হয়ে চলেছে। কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করছি, এ সব কিছু আমাকে ভাঙতে পারবে না।’

শোনা যাচ্ছে বিচ্ছেদের পর ভরণপোষনের জন্য সামান্থাকে ২০০ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিলেন নাগা এবং তাঁর পরিবার। কিন্তু সামান্থা নাকি কোনও টাকা নিতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র দাবি করেন, এই বিয়ে ভাঙা সামান্থার কাছে হৃদয় বিদারক। অভিনেত্রী অত্যন্ত বিচলিত। এই সম্পর্ক থেকে শুধুমাত্র ভালবাসা এবং সাহচর্য চেয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া আর কিছুর প্রয়োজন ছিল না তাঁর।

২০১০-এ একসঙ্গে ‘ইয়ে মায়া চেসভ’-এ কাজ করতে গিয়ে নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েন সামান্থা এবং নাগা। ২০১৭-র জানুয়ারিতে তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়। ওই বছরই অক্টোবরে গোয়াতে বিয়ে করেন তাঁরা। তাঁদের বিচ্ছেদে মন ভেঙে গিয়েছে বহু অনুরাগীর।

বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সামান্থা। তিনি লেখেন, ‘আমাদের সকল শুভান্যুধায়ীরা, অনেক চিন্তাভাবনার পর চে এবং আমি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের পথে এগিয়ে যাব ভেবেছি। আমরা ভাগ্যবান এক দশকের বেশি সময় আমাদের বন্ধুত্ব ছিল, সেটা আমাদের সম্পর্কের অত্যন্ত ব্যক্তিগত জায়গা। আমরা বিশ্বাস করি সেই স্পেশ্যাল বন্ডিং আমাদের মধ্যে থেকে যাবে। এই কঠিন সময়ে আমাদের অনুরাগী, শুভান্যুধায়ী এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে আমাদের প্রাইভেসিকে সম্মান জানানোর অনুরেধ করব। আমরা সত্যিই এগিয়ে যেতে চাই। আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’ এই একই পোস্ট করেছেন নাগাও।

সদ্য সামান্থা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘যখন হতাশা আমাকে ঘিরে ধরে তখন সব মসয় মনে রাখি সত্য এবং ভালবাসার পথ সব সময় জয়ী হবে। অদৃশ্য হয়ে অনেক অত্যাচারী বা খুনী হয়তো থাকবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সকলেই পরাজিত হবে। এটা সব সময় ভাববে।’ হ্যাশট্যাগে তিনি ব্যবহার করেছে ‘মাই মম্মা সেড’-এর মতো তিনটি শব্দ। এই পোস্ট শেয়ার করার পরই অনুরাগীদের একাংশের মনে হচ্ছে, তা হলে কি নিজেই হতাশায় ভুগছেন অভিনেত্রী?

নাগা চৈতন্য অভিনেতা নাগার্জুন আকিনেনির পুত্র। বৈবাহিক সূত্রে এক সময় আকিনেনি পদবী ব্যবহার করতেন সামান্থা। কিন্তু কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে সেই পদবী বাদ দিয়েছেন তিনি। তারপর থেকে নাগা চৈতন্যর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের জল্পনা আরও দৃঢ় হয় বিভিন্ন মহলে। সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন অভিনেত্রী স্বয়ং।

আরও পড়ুন, Tanushree Bhattacharya: তনুশ্রীর বেবি শাওয়ার, কারা উপস্থিত ছিলেন?