Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Seema-Sohail: বিচ্ছেদের পর ‘খান’ পদবী মুছে ফেলেছেন মা, মানতেই পারেননি সলমনের ভাইপো

Sohail Khan: পাল্টা যুক্তি দিয়েছিলেন সীমাও। তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর পরিচয়ের সঙ্গে আর কোনও খান নেই। নির্বাণ মা'কে বলে নেমপ্লেটে 'খান ও সাজদে' রাখতে।

Seema-Sohail: বিচ্ছেদের পর 'খান' পদবী মুছে ফেলেছেন মা, মানতেই পারেননি সলমনের ভাইপো
পাল্টা যুক্তি দিয়েছিলেন সীমাও। তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর পরিচয়ের সঙ্গে আর কোনও খান নেই। নির্বাণ মা'কে বলে নেমপ্লেটে 'খান ও সাজদে' রাখতে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2022 | 9:16 PM

বাড়ির নেমপ্লেট থেকে খান পদবী মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন সীমা সাজদা। সোহেল খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এই সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন তিনি। তবে বড় ছেলে নির্বাণ ব্যাপারটি খুব একটা ভাল ভাবে নেননি। সীমা নেমপ্লেটে লিখেছিলেন, ‘সীমা, নির্বাণ ও ইয়োহান’। আর তাতেই আপত্তি ছিল বড় ছেলের। কী ছিল তাঁর যুক্তি। এক চ্যাট শো-য়ে সীমা জানিয়েছেন নির্বাণ বলেছিলেন, “আমরা চার খানের পরিবার। কিন্তু শুধুমাত্র একটি নাম মুছে দিয়ে বাকি তিন জনের রেখে তুমি পদবী নয় একজনের নামই শুধু বাদ দিয়েছ। এতে কী হবে? দিনের শেষে আমরা তো সেই খানই। তুমিও খান”।

পাল্টা যুক্তি দিয়েছিলেন সীমাও। তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর পরিচয়ের সঙ্গে আর কোনও খান নেই। নির্বাণ মা’কে বলে নেমপ্লেটে ‘খান ও সাজদে’ রাখতে। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, “আমি সেটা করতে পারি না। খান রাখতে চাই না আমার সঙ্গে। আমার নামের সঙ্গে খানের কোনও অস্তিত্ব থাকুক সেটাই আমি চাই না। শুধুমাত্র আমি তিনজনকে নিয়ে থাকতে চাই। তুমি আমি ও তোমার ভাই।” একই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, ছেলের পদবী আর তাঁর পদবী যে এবার থেকে আলাদা এইটাই তিনি কষ্ট করে মানিয়ে নিচ্ছেন। আর সেই কারণে তিনি চানই না পদবী ব্যবহার করতে।

পরিবারের অমতেই সীমা বিয়ে করেছিলেন সোহেল ও সীমা। ২০১৭ থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেন তাঁরা। কি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে? মুখ খুলেছিলেন সীমা। বলেছিলেন,“যদি এক অন্ধকার গর্তের মধ্যে জড়সড় হয়ে থাকতে হয় তবে সেখানে না থেকে বিপরীত দিকে থাকারই তো চেষ্টা করব। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তোমার মেয়ে অথবা তোমার বোন ক্রমাগত এরকম এক অবস্থার মধ্যে রয়েছে এ দেখতে নিশ্চয়ই পরিবারের লোকেদেরও ভাল লাগে না।” এখানেই না থেমে তিনি যোগ করেন, “ওঁদের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। যাতে ওরা বুঝতে পারে তাঁদের মেয়ে জীবনকে ইতিবাচক ভাবে নিতে শিখেছে। আমার মনে হয় জীবনে এমন এক জায়গায় এসে পৌঁছেছি যে আর কিছুই যায় আসে না। আমার সন্তান আমার ভাই বোন আমার বাবা-মা জানে আমি কী”।

সোহেল ও সীমার প্রথম দেখা হয় ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’র সেটে। দিল্লি নিবাসী সীমা সোহেলের প্রেমে পড়েই মুম্বইয়ে ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়তে চলে আসেন। বাবা-মা না মানলেও আর্য সমাজবিধি মেনে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। হয়েছিল মুসলিম রীতি মেনে বিয়েও। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। ২০০০ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান নির্বাণের জন্ম হয়। ২০১১ সালে জন্ম হয় ইয়োহানের। সব ঠিকই চলছিল, কিন্তু হঠাৎই সম্পর্কে ঝড়। যার পরিণাম বিচ্ছেদ।