AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pallavi Chatterjee: পল্লবীর অ্যাকাউন্ট থেকে হাপিশ লক্ষ লক্ষ টাকা, খোঁজ নিতেই শুনতে হল তিনি নাকি মৃত!

Pallavi Chatterjee: ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হল ৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা।

Pallavi Chatterjee: পল্লবীর অ্যাকাউন্ট থেকে হাপিশ লক্ষ লক্ষ টাকা, খোঁজ নিতেই শুনতে হল তিনি নাকি মৃত!
হাপিশ লক্ষ লক্ষ টাকা
| Edited By: | Updated on: Apr 01, 2023 | 8:19 PM
Share

ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হল ৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। শুধু কি তাই? ব্যাঙ্কে খোঁজ নিতেই শুনতে হল তিনি নাকি মৃত। গোটা ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত পল্লবী। ব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়েও তুললেন প্রশ্ন। ঠিক কী ঘটেছে? তিনি জানান, দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি ব্যাঙ্কে প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু বছর ধরেই টাকা জমাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ করেই তাঁকে জানানো হয় ওই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পল্লবী বলেন, “আমাকে এক-দু’দিন অপেক্ষা করতে বলা হয়। দু’দিন পর যখন স্টেটাস জানতে চাই তখন দেখি ৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা নেই।” এখানেই শেষ নয়, তিনি মৃত, এই মর্মে বন্ধ করা হয়েছে অ্যাকাউন্টটি। তাঁর প্রশ্ন, “আমি জীবিত থাকাকালীন কেউ কী করে ‘ডেথ ক্লেম’ করতে পারে?” গোটা ঘটনায় ব্যাঙ্কটির ম্যানেজার ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ পল্লবী। তিনি যোগ করেন, “কোথায় টাকা গায়েব হল? কে এর পিছনে দায়ী হতে পারে? এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও সদুত্তর পাইনি ব্যাঙ্ক থেকে।” পাশাপাশি মৃত্যুর শংসাপত্র না দেখেই কি বন্ধ করা হল অ্যাকাউন্টটি? এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন পল্লবী। পুলিশের ভূমিকায় এযাবৎ বেশ খুশিই তিনি। খুব শীঘ্রই হারানো টাকার হদিশ মিলবে বলেই আস্থা তাঁর। ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা নতুন নয়। ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার নাম করে ভুয়ো ফোন, সেখান থেকে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার কথা প্রায়শই খবরে আসে। এ প্রসঙ্গে বারেবারেই সাবধান করা হয় ব্যাঙ্কের তরফেও। তবে সাধারণ থেকে সেলেব– কেউই যেন রক্ষা পান না এর কবল থেকে। গত বছরের ঘটনা। অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও ঘটে অনুরূপ এক ঘটনা। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক নয়, তাঁর মোবাইলে এসেছিল এক এসএমএস। সেখানে তাঁকে জানানো হয় যদি তৎক্ষণাৎ বিদ্যুতের মিল না মেটানো হয় তবে লাইন কেটে দেওয়া হবে। ভয় পেয়েই সেই লিঙ্কে ক্লিক করে বিল মেটান। আর এর পরেই ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। এবার পল্লবীও জালিয়াতির শিকার। টাকা কি ফিরে পাবেন? সেটাই এখন ৯ লাখি প্রশ্ন।