Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Exclusive: ঋতুপর্ণার চোখের সামনেই ঘটে সবটা, ঠাকুরপুকুর দুর্ঘটনা নিয়ে কী বললেন ঋ?

এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন (ঋ)। সেই দুর্ঘটনার সময় ওই গাড়িতেই ছিলেন অভিনেত্রী ঋ। ফলে মানসিকভাবে এখনও ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তবে ঋ-এর কথা জানার আগে ওই দিন কী ঘটেছিল জেনে নেওয়া যাক--

Exclusive: ঋতুপর্ণার চোখের সামনেই ঘটে সবটা, ঠাকুরপুকুর দুর্ঘটনা নিয়ে কী বললেন ঋ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 08, 2025 | 4:01 PM

‘মদ্যপ’ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে এক পথচারীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলেন টলিপাড়ার সেলেব। আহত আরও অনেকে। এই ছবি বর্তমানে স্যোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে। স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে টলিপাড়ার অন্দরমহলে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, সকলের সঙ্গেই কথা বলে তাঁদের বক্তব্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন TV9 বাংলা। এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন (ঋ)। সেই দুর্ঘটনার সময় ওই গাড়িতেই ছিলেন অভিনেত্রী ঋ। ফলে মানসিকভাবে এখনও ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তবে ঋ-এর কথা জানার আগে ওই দিন কী ঘটেছিল জেনে নেওয়া যাক–

রবিবার সকাল ৯ টার সময়ে ঠাকুরপুকুর বাজার এলাকায় একটি গাড়ি কয়েকজন পথচারীদের ধাক্কা দেয়। শোনা যাচ্ছিল ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন পরিচালক ভিক্টো। গাড়িতে বাকি কারা ছিলেন তা নিয়ে ছড়িয়ে ছিল গুঞ্জন। সান বাংলার কার্যনিবাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু, ঋতুপর্ণা সেন ছিলেন বলে শোনা যায়। এরপর খবর ছড়ায় এই দুর্ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন নাকি আরিয়ান ভৌমিক।

এরপর আরিয়ানকে ফোন করা হলে, তিনি বলেন, তাঁদের সিরিয়াল ‘ভিডিও বৌমা’র রেটিং ভাল হওয়ার কারণে, সেলিব্রেট করতে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার এক পানশালায়। তবে সেখান থেকে আরিয়ান তাঁর নিজের গাড়ি করে বেরিয়ে যান। এরপর জোকার কাছে তাঁর বাড়িতে পরিচালক ভিক্টো, ঋতুপর্ণা সেন সহ অন্য সকলে এসে আড্ডা দেয়। এরপর তাঁরা গাড়ি নিয়ে আবার বেরিয়ে যায়। অবশ্য আরিয়ান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এর বাইরে কিছু জানেন না। প্রায় একই কথা বলেন স্যান্ডি সাহা।

এবার TV9 বাংলায় মুখ খুললেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন। তাঁকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমি ওই গাড়িতেই ছিলাম, যখন ওই দুর্ঘটনা হয়। তবে আমি কোনওরকম নেশা করিনি, কখনও করিও না। আমার গাড়ি ছিল না। গাড়ি চালাতেও পারি না। তাই আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলেছিলেন পরিচালক ভিক্টো। গাড়িতে আমি ও শ্রিয়া বসু ছিলাম। ভিক্টোর ড্রাইভার ছিল না। তাই ভিক্টোই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আমি সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে পড়ি। ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মাথা কাজ করছিল না। আমায় দেখে স্থানীয় ব্যক্তিরা চিনতে পারে কিনা জানি না, তবে আমাকে উদ্ধার করে বের করে দেন ঘটনাস্থল থেকে। আমার সেরকম কোনও আঘাত লাগেনি, তবে মানসিক ভাবে ট্রমায় আছি এখনও।”

এই ঘটনায় যেহেতু একজনের মৃত্যু হয়, পুলিশ কি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে ঋতুপর্ণা সেন বলেন, “আমার সঙ্গে এখনও পুলিশ যোগাযোগ করেনি। পুলিশের সঙ্গে অবশ্যই সহযোগিতা করব। আমি নেশা করে ছিলাম না। যা ঘটেছে সেই ঘটনায় আমি এখনও ট্রমাতে রয়েছি।” দুর্ঘটনার সময় ঋতুপর্ণা সেন উপস্থিত থাকলেও তাঁকে জনতা উদ্ধার করে সরিয়ে দিলেও, শ্রিয়া ও ভিক্টোকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।