‘ওরাও মানসিক চাপে রয়েছেন’, ইন্ডিগো বিভ্রাটে এবার সরব সোনু
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে বিপর্যস্ত দেশের সবথেকে বড় এয়ারলাইন্স, ইন্ডিগোর পরিষেবা। প্রতিদিন শয়ে শয়ে বিমান বাতিল হচ্ছে। ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টাও বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। চরম সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। বিনা খাবার, জল ও লাগেজ ছাড়াই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের।

টানা তিন দিন ধরে কার্যত বিপর্যস্ত ইন্ডিগো বিমান সংস্থার পরিষেবা। শুক্রবার দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর বিমান বাতিল ও বিলম্বিত উড়ানের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। হঠাৎ পরিষেবায় ব্যাঘাত এবং সংশ্লিষ্ট দুর্ভোগে উত্তাল হয়ে ওঠে একাধিক বিমানবন্দর। যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছিলেন, সেই ছবিও উঠে এসেছিল। তৈরি হয়েছিল বিক্ষোভের পরিবেশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করছে বিমান সংস্থা।
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মাঝেই মানবিক বার্তা দিলেন অভিনেতা সোনু সুদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি জানান, তাঁর নিজের পরিবারের সদস্যরাও পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিমানবন্দরে আটকে রয়েছেন। তবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে যাত্রীদের সংযত থাকার অনুরোধ করে সোনু বলেন, “দয়া করে বিমান সংস্থার কর্মীদের উপরে চিৎকার করবেন না। ওদের দোষ নেই। ওরা শুধুমাত্র নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে। অনেকেই বিয়ে বা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে যেতে পারেননি, রাগ হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আগে ভাবুন, ওরা যে চাকরি করছে, ওরাও মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছে।”
সোনু আরও জানান, দেশের নানা বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিক্ষোভের ছবি দেখা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। রাগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শালীনতা ভুলে যাওয়া উচিত নয় বলেই মত তাঁর। তিনি বলেন, “সহবত ভুলে যাবেন না। এমন সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই সবচেয়ে প্রয়োজন।”
প্রসঙ্গত, কেন শ’য়ে শ’য়ে বিমান বাতিল হল ইন্ডিগোর বিমান? ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (DGCA)-র তরফে এবার শোকজ করা হল ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে। ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে কেন বিগত এক সপ্তাহ ধরে বিমান বাতিল এবং দেরিতে চলল। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইন্ডিগোর সিইও-কে তার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। যদি এই নির্দেশ না মানেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে বিপর্যস্ত দেশের সবথেকে বড় এয়ারলাইন্স, ইন্ডিগোর পরিষেবা। প্রতিদিন শয়ে শয়ে বিমান বাতিল হচ্ছে। ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টাও বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। চরম সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। বিনা খাবার, জল ও লাগেজ ছাড়াই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। যা নিয়ে বেজায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে দেখা যায় বিভিন্ন বিমান বন্দরে।
