‘সমস্যা থেকেই প্রেম ভাঙে’, ব্রেকআপের পর কীভাবে নিজেকে সামলান সৃজলা?
মন ভাঙলে কীভাবে সামাল দেন নিজেকে? মনতো ভেঙেছে নিশ্চয়ই? এই প্রশ্নের উত্তরে সৃজলার বক্তব্য খুব স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, জোর করে কিছুই হয় না, তাই কেউ না থাকতে চাইলে ছেড়ে দেওয়াই ভাল।

‘বাতাসে গুনগুন’ নামে সিরিজ খুব শীঘ্রই দেখা যাবে হইচই-এর প্ল্যাটফর্মে। এই সিরিজের মুখ্য চরিত্র তিনজন। অভিনয়ে রয়েছেন, মানালি দে, সৃজলা গুহ ও সুহোত্র মুখোপাধ্যায়। একটা সময় ছিল যখন পরকীয়াকে সামাজিক অপরাধ হিসেবেই দেখা হতো। আড়ালে, আবডালে আলোচলা, ফিসফিস হলেও খোলাখুলি এই সব বিষয়ে আলোচনা হতো না। তবে এখন সিরিয়াল থেকে সিরিজ সব কিছুতেই বিষয় হল পরকীয়া বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। এমনই এক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে আসছে ওয়েব সিরিজ ‘বাতাসে গুনগুন’।
এই সিরিজেই এক প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করছেন সৃজলা গুহ। এই সিরিজের চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বললেন, “আসলে চরিত্রটি নিজের কাছে সৎ, সে যেভাবে বড় হয়েছে, সেখানে সে ভালবাসা চাইছে, বাকি কিছুই দেখতে নারাজ”। সৃজলাও কি ব্যক্তিগত জীবনে এরকম প্রেমিক মানুষ? মন ভাঙলে কীভাবে সামাল দেন নিজেকে? মনতো ভেঙেছে নিশ্চয়ই? এই প্রশ্নের উত্তরে সৃজলার বক্তব্য খুব স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, জোর করে কিছুই হয় না, তাই কেউ না থাকতে চাইলে ছেড়ে দেওয়াই ভাল।
সৃজলার মতে, “অবশ্যই প্রেম ভাঙার একটাই কারণ থাকে বলে আমি মনে করি, যে প্রেম, ভালবাসা থেকে তৈরি হয়, আবার অধিকারবোধ, ইনসিকিউরিটি তৈরি হয় থেকেই তৈরি হয় সমস্যা। আর সেই সমস্যা থেকেই প্রেম ভাঙে,মন ভাঙে।”
তবে প্রেম ভাঙার পর নিজেকে কীভাবে সামাল দিয়েছেন, সেই কথা বলতে গিয়ে বললেন, “মনতো অবশ্যই ভেঙেছে, মন যখন ভেঙেছিল তখন নিজেকে সামাল দেওয়ার জন্য মেডিটেশন করেছিলাম। বেশকিছু মন্ত্র জপ করেছি, ঘন্টার পর ঘন্টা করেছি, মেডিটেশনের থেকে ভাল কিছু হয় না। নিজের মনকে হিল করার জন্য মন্ত্র যপ সবথেকে ভাল কাজ দিয়েছে আমার।”
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী সৃজলা গুহ ও অভিনেতা রোহন ভট্টাচার্যকে টলিপাড়ার চর্চিত জুটি হিসেবেই ভাবা হতো। তবে নানা কারণে এই সম্পর্ক টেকেনি। টলিপাড়ার গুঞ্জন ‘মন ফাগুন’ ধারাবাহিকের শন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৃজলার দারুণ কেমেষ্ট্রি কোথাও গিয়ে রোহন ও সৃজলার প্রেমে সমস্যা তৈরি করেছিল। তবে এটাকে গুঞ্জনই বলা যেতে পারে।
