Tollywood Actress: এক অভিনেত্রীর ছোটবেলার ছবি, কে ইনি, চিনতে পারছেন?
Tollywood Actress: আপনি যদি বাংলা টেলিভিশনের নিয়মিত দর্শক হয়ে থাকেন, তা হলে এই অভিনেত্রী আপনার পরিচিত। কারণ প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় একে দেখেন আপনি।
ফ্রক পরে দাঁড়িয়ে রয়েছে একরত্তি মেয়ে। কপালে কাজলের টিপ। ক্যামেরায় নয়, ক্যামেরারল নেপথ্যে অন্য কোনও কিছুতে মন রয়েছে। পছন্দের জিনিস নিশ্চয়ই। কারণ তা দেখে তার হাসি আর ধরে না। এই মেয়ে এখন অভিনেত্রী। চিনতে পারছেন?
আপনি যদি বাংলা টেলিভিশনের নিয়মিত দর্শক হয়ে থাকেন, তা হলে এই অভিনেত্রী আপনার পরিচিত। কারণ প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় একে দেখেন আপনি। শুধু দেখা নয়, এর কাজের প্রশংসাও করেন। এ বার কি চিনতে পারছেন এটি কোন অভিনেত্রীর ছোটবেলার ছবি?
এই ছবিটি অন্বেষা হাজরার। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকে যাঁকে প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় দেখছেন দর্শক। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে নিজের এই ছোটবেলার ছবিটি শেয়ার করেছেন। ছবির ক্যাপশনে অন্বেষা লিখেছেন, ‘এক বছর দু মাস। পোজ দিয়ে ছবি তুলতে চাইতাম না বলে ‘বন্দুক’ দেখিয়ে শান্ত করে ছবি তোলা হতো।’ ছবিটি তাঁর মামা তুলে দিয়েছিলেন, তারও উল্লেখ রয়েছে।
View this post on Instagram
দুর্গা পুজোতে কোনও বারই কলকাতায় থাকেন না অন্বেষা। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাঁদের বাড়িতে পুজো হয়। সেখানেই হইহই করে কেটে যায় পুজোর কয়েকটা দিন। বর্ধমানের মেমরিতে অভিনেত্রীর বাড়ি। কিন্তু পুজো মেমরির বাড়িতে হয় না। পুজো হয় তাঁদের গ্রামের বাড়িতে। মেমরি থেকে আর একটু ভিতরের দিকে ধানখেরু গ্রাম। এক সময় ওখানকার জমিদারি ছিল অন্বেষাদের। অনেক পুরনো বাড়ি। প্রায় ২০০ বছরের পুজো। মেমরির বাড়িও ২০০ বছরের পুরনো। কিন্তু গ্রামের বাড়ি আরও পুরনো। পুজো এমন একটা সময় সব আত্মীয় স্বজন গ্রামের বাড়িতে যান। সকলের সঙ্গে দেখা হয় বছরের ওই সময়টাতেই। তাই কলকাতায় থাকেন না কোনওবার।
View this post on Instagram
বাড়ির পুজো সম্পর্কে আগেই TV9 বাংলাকে অন্বেষা বলেছিলেন, “আমাদের বাড়ির মা দুর্গা স্বপ্নে পাওয়া ঠাকুর। দাদুর বড়পিসির তখন পাঁচ বছর বয়স। সেই পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়ে একদিন ঘুম থেকে উঠে বলে দিয়েছিল, কী ভাবে দুর্গা পুজো করতে হবে। পাঁচ বছর বয়সের একটা মেয়ের পক্ষে দুর্গা পুজোর সব নিয়ম জানা তো সম্ভব নয়। আমি এখনও এই ২৫ বছর বয়সে এসেও জানি না দুর্গা পুজোয় কী জোগাড় লাগে। সে স্বপ্ন দেখেছিল। তখন থেকেই আমাদের বাড়ির পুজো চালু হয়।”
বর্ধমানের অন্বেষা যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এর আগে ‘কাজললতা’, ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘চুনি পান্না’র মতো ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দেখেছেন দর্শক। ‘ঠাকুমার ঝুলি’, ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি’তে একটা করে গল্পে কাজ করেছিলেন। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ তাঁর চতুর্থ ধারাবাহিক। প্রতি মুহূর্তে কাজ শেখার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন, Hiya Dey: আমার প্রথম ছবি ‘নির্ভয়া’, শুটিংয়ে বেস্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি: হিয়া