Aindrila Sharma: ‘ভেবেছিলাম পরচুলা পরাবে, কিন্তু অভিদা বলল…’, কামব্যাকের অভিজ্ঞতা নিয়ে অকপট ঐন্দ্রিলা
Aindrila Sharma: ক্যানসারকে হারিয়ে আবারও পর্দায় ঐন্দ্রিলা শর্মা। টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন এক বছর পর শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা।
একটা বছর কম সময় নয়। ঘণ্টা-মিনিট-সেকণ্ডের হিসেবে করলে বেশ দীর্ঘ। এই এক বছরে আমার জীবন দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেকখানি ঝড়। ঝড় আজ শান্ত। তবু ফিরে আসতে চাইলেই কি ফিরে আসা যায়? হয়তো যায়। আমি ঐন্দ্রিলা। এই একটা বছর, আপনাদের সবার ভালবাসায় ক্যানসার আমার থেকে দূরে সরেছে। আর এরই মধ্যে আবারও কাছে এসেছে আমার ভালবাসা, আমার অভিনয়। জি-বাংলার এক সিনেমায় আমি যে অভিনয় করছি এ খবর নিশ্চয়ই এতদিনে আপনারা জেনে গিয়েছেন। কীভাবে সবটা হল? সেই গল্পই বলব আপনাদের।
কাজ আমি করতে চাইছিলাম। ডাক্তারেরাও বহুদিন থেকে বলছিল আবারও শো-বিজে ফেরা উচিত আমার। কিন্তু মাঝে গ্যাপটাও হয়ে গিয়েছিল। অনেকেই বুঝতেও পারছিলেন না আমি কাজ করার জন্য আদৌ তৈরি কিনা। যাই হোক। এ মাসের প্রথমেই হঠাৎ একটা ফোন। জি-বাংলা অরিজিনালসের এক সিনেমাতে আমার কথা ভাবা হয়েছে। পরিচালক অভিদা মানে অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। মিষ্টি গল্প। অনির্বাণ চক্রবর্তী আমার বাবার চরিত্রে। অভিদা জানত আমি আবারও কাজের জন্য তৈরি। আর গল্পটাও আমার করা ধারাবাহিকের গল্পগুলো থেকে একদম আলাদা। হ্যাঁ বলতে দু’বার ভাবিনি।
শুট শুরু হয়। চুল এখনও বড় হয়নি আমার। ভেবেছিলাম হয়তো পরচুলা পরতে হবে। তাতে আমার কোনও অসুবিধে ছিল না। কিন্তু সেটে পৌঁছেই দেখি অভিদা বলছে, ওর যেমন চুল তেমনই থাকবে। কিচ্ছু বদলাতে হবে না। আমি অবাক হয়েছিলাম, ভালও লেগেছিল বেশ। গোটা শুট জুড়েই সবাই এত ভালবাসা দিয়েছে। একটা করে শট শেষ হচ্ছে কেউ চেয়ার নিয়ে আসছে, কেউ বা আবার জিজ্ঞাসা করছে জল খাব কিনা। শেষে আমিই ওদের কোনওমতে থামিয়ে আশ্বাস দিয়েছি যে আমি ঠিক আছি। ভাল আছি। গতকাল ডাবিংও শেষ হয়েছে ছবির, এখন শুধুই মুক্তির অপেক্ষা। এমনটাই তো চেয়েছিলাম আমি, ভালবাসা ছেড়ে থাকাই বা যায় কতক্ষণ?