Sean Banerjee: ‘মন ফাগুন’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতে গিয়ে মুম্বইয়ে কাজের অফার হাতছাড়া শন বন্দ্যোপাধ্যায়ের, আক্ষেপ প্রকাশ অভিনেতার
Tollywood Actor: TV9 বাংলাকে 'ঋষিরাজ' শন বলেছেন, "নির্দিষ্ট একটি মাধ্যমেই কাজ করতে হবে, এমনটা আমি মনে করি না। অনেক কাজের অফার আসছে। তবে ভাল কাজ করতে চাই।"
আর পিহু-ঋষিরাজের রোম্যান্টিক সম্পর্ক দেখতে পাবেন না দর্শক। আগামী ২১ অগস্ট শেষ হচ্ছে জনপ্রিয় ‘মন ফাগুন’ ধারাবাহিক। শেষদিনের শুটিংও হয়ে গিয়েছে সম্প্রতি। মন খারাপ রয়েছে সকলের। এমনটাই হয় প্রতিবার। সেট হয়ে ওঠে পরিবার। আর পরিবার ভাঙা মানেই মনের উপর চাপ সৃষ্টি হওয়া। যদিও বা কিছুটা পেশাদারিত্বের কথা মাথায় রেখে মন শক্ত করে নিয়েছেন শিল্পী ও কলাকুশলীরা। সিরিয়ালে ঋষিরাজের ভূমিকায় অভিনয় করেন শন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আরও একটা পরিচয়, তিনি সুপ্রিয়া চৌধুরীর সবচেয়ে ছোট নাতি। দিদিমার অভিনয়ের লেগাসি তিনিই বজায় রেখেছেন পরিবারে। এ দিকে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই দর্শকের নজরে রীতিমতো হিট শন। তাঁর মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা নজরকাড়া। ‘মন ফাগুন’ তো শেষ, এবার কী? TV9 বাংলাকে ‘ঋষিরাজ’ শন বলেছেন, “নির্দিষ্ট একটি মাধ্যমেই কাজ করতে হবে, এমনটা আমি মনে করি না। অনেক কাজের অফার আসছে। তবে ভাল কাজ করতে চাই।”
অফার আসছে প্রচুর, কিন্তু এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি শন। এর পর কোন মাধ্যমে তিনি কাজ করবেন, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। সিনেমা, সিরিয়াল, ওয়েব সিরিজ়, মিউজ়িক ভিডিয়ো… কাজ ভাল হলেই শন রাজি। এও জানিয়েছেন, টেলিভিশনে কাজ করতে-করতে একঘেয়ে ব্যাপার চলে এসেছে। বলেছেন, “ধারাবাহিকে যে ভাবে কাজ হয়, সেটা যথেষ্ট খাটুনির। তবে হ্যাঁ, অন্য মাধ্যমে ভাল কাজের অফার পেলে করতে চাই। একটাই শর্ত, ভাল কিছু করতে চাই। এখনই কথা দিতে পারছি না, টিভির পর্দাতেই ফিরব কি না। বিরাম একেবারেই নিতে চাই না এই মুহূর্তে। যদিও ছোট্ট বিরতি নিচ্ছি। এই মাসের শেষেই একটা অল্প দিনের ইন্টারন্যাশনাল ট্যুর করব। তারপর আবার কাজে ফিরব।”
কথা বলতে-বলতে শন TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন, ‘মন ফাগুন’-এ কাজ করতে-করতে মুম্বইয়ে কাজের অফার পেয়েছিলেন। সিরিয়ালের কাজে যে ধারাবাহিকতা থাকে, তাতে হুট করে সব বন্ধ করে অন্য কাজ করা সম্ভব হয় না। ডেট নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। শনকে যে কারণে মুম্বইয়ের অফার ছাড়তে হয়েছে। এ কথা বলতে গিয়ে আক্ষেপ শোনা যায় অভিনেতার কণ্ঠে। তিনি বলেন, “ডেটের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। মুম্বই থেকে অফার আসা সত্ত্বেও কাজগুলো ‘না’ বলতে হয়েছে।”