Bhaswar Chatterjee: নিপুণ দক্ষতায় কাশ্মীরি কার্পেট বুনছেন শিল্পী, ধরা পড়ল ভাস্বরের ক্যামেরায়

Bhaswar Chatterjee: সদ্য কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন ভাস্বর। তাঁর বন্ধুর কাকা প্রায় ৮০ বছর বয়সী এক প্রবীণ শিল্পীর সঙ্গে দেখা হয় ভাস্বরের। নিপুণ দক্ষতায় তিনি কার্পেট বুনে চলেছেন।

Bhaswar Chatterjee: নিপুণ দক্ষতায় কাশ্মীরি কার্পেট বুনছেন শিল্পী, ধরা পড়ল ভাস্বরের ক্যামেরায়
ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 8:53 PM

কাশ্মীরি কার্পেট আমাদের অনেকেরই পছন্দের। ঘরে সাজিয়ে রাখতে পছন্দ করি আমরা। কিন্তু যাঁরা তৈরি করেন, সেই শিল্পীদের যে কত পরিশ্রম জড়িয়ে থাকে, তার খবর হয়তো রাখি না। কত সময় ধরে কার্পেট বোনা হয়, তা সাধারণ ক্রেতা হিসেবে হয়তো অনেকেরই জানা সম্ভব নয়। কিন্তু এই পরিশ্রমের ছবি এ বার ধরা পড়ল অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের ক্যামেরায়।

সদ্য কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন ভাস্বর। তাঁর বন্ধুর কাকা প্রায় ৮০ বছর বয়সী এক প্রবীণ শিল্পীর সঙ্গে দেখা হয় ভাস্বরের। নিপুণ দক্ষতায় তিনি কার্পেট বুনে চলেছেন। তাঁর কাজের নিষ্ঠা, ধৈর্য্য দেখে আপ্লুত ভাস্বর। ভিডিয়ো তৈরি করে তা শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই প্রবীণ শিল্পী নাকি দিলীপ কুমারের বড় ভক্ত।

বাবাকে নিয়ে কাশ্মীরে গিয়েছিলেন ভাস্বর। ক্ষীর ভবানী মন্দিরে অষ্টমীর পুজো দিয়েছেন তিনি। সেখানকার ছবি এবং ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। ভাস্বর ভিডিয়োতে বলেন, ‘এই সেই জল, যা মাঝে মাঝে রং বদলায়। কখনও লাল, কখনও নীল। ক্ষীর ভবানী মন্দিরের একেবারে সামনে আমি। মাকে প্রণাম করব।’

কাশ্মীরের এই ট্রিপে ভাস্বরের দুটো কাজ করতে গিয়েছিলেন। প্রথমত বিখ্যাত ভবানী মন্দিরে অষ্টমী পুজো দেওয়া। স্বয়ং স্বামীজি নাকি এই মন্দিরে গিয়েছিলেন। কথিত আছে রাবণের প্রতিষ্ঠা করা মায়ের এই রূপ হনুমানজি শ্রীলঙ্কা থেকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন মায়ের ইচ্ছেতেই। আর দ্বিতীয়ত এক বন্ধুর কাকার বিয়েতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করাও ছিল উদ্দেশ্য।

ভাস্বরের বাঁকুড়ার বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। প্রতি বছর সেখানেই যান তিনি। কিন্তু এই বছরের রুটিন একেবারে আলাদা ছিল। এ প্রসঙ্গে ভাস্বর বলেছিলেন, “বাঁকুড়ায় আগের বছর কোভিডের মধ্যেও গিয়েছিলাম। আমি আর বাবা। আমাদের অনেক বড় পরিবার। গতবার কোভিডের জন্যই অনেকে আসতে পারেননি। এ ভারও কোভিডের জন্যই বিশেষ কেউ আসতে পারবেন না হয়তো। বাবারা সাত ভাই বোন। বাবার দাদু এই পুজো শুরু করেছিলেন। আত্মীয়রা বেশিরভাগই কলকাতার বাইরে থাকেন। মুম্বই, দিল্লি, ফরিদাবাদ, ইউএস, অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের সব আত্মীয়। যেমন সিনেমায় আমরা দেখি, পুজোর সময় বাড়ির সবাই এসে এক জায়গায় হচ্ছেন। আমাদের বাড়িতেও তাই হয়। গতবার তো জুম কলে আমি সকলকে অঞ্জলি দেখিয়েছিলাম। যারা আসতে পারেনি, নিজেদের জায়গায় বসে জুম মিটে অঞ্জলি দিয়েছিল।”

আরও পড়ুন, Kapil Sharma: করওয়া চৌথে প্রকাশ্য চুম্বন, ভাইরাল হল কপিল-গিন্নির ছবি