Dibyojyoti Dutta: মাত্র ২৩ বছরেই দুই মেয়ের বাবা, কীভাবে সবটা সামলাচ্ছেন ‘টপার’ দিব্যজ্যোতি?
Dibyojyoti Dutta: বয়স মাত্র ২৩ বছর। এরই মধ্যে দুই মেয়ের বাবা হয়ে গিয়েছেন দিব্যজ্যোতি দত্ত। মেয়েদের নাম সোনা ও রূপা।
বয়স মাত্র ২৩ বছর। এরই মধ্যে দুই মেয়ের বাবা হয়ে গিয়েছেন দিব্যজ্যোতি দত্ত। মেয়েদের নাম সোনা ও রূপা। অফস্ক্রিন নয়, অনস্ক্রিন। দুই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন তাঁর? ‘বাবা’ দিব্যজ্যোতি দত্তের কাছে প্রশ্ন রেখেছিল টিভিনাইন বাংলা। এই সপ্তাহে গত বেশ কিছু সপ্তাহের টপার ‘জগদ্ধাত্রী’কে হারিয়ে সে প্রথম স্থানে। একে টপার হওয়ার আনন্দ অন্যদিকে দুই মেয়ের সঙ্গে খুনসুটি এ সব নিয়েই মুখ খুললেন তিনি। সেটে তাঁকে কী বলে ডাকে অনস্ক্রিন মেয়েরা? দিব্যজ্যোতির উত্তর, “দিব্য বলে ডাকে, আবার সূর্য (সিরিয়ালে দিব্যজ্যোতির নাম) বলেও ডাকে। ওরা আমাকে দেখলেই কোলে উঠে পড়ে, বাইসেপস ধরে ঝুলে পড়ে। আমাকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে বলে, তারপর গা বেয়ে বেয়ে উঠতে থাকে।” বিয়ের এখনও ঢের দেরি তাঁর। এখন কেরিয়ার করার পালা। কিন্তু এই বয়সেই বাবা হওয়ার প্রথম পাঠ যেন পড়ে ফেলছেন তিনি। ভবিষ্যতে বাবার দায়িত্ব পালনে নেই কোনও অসুবিধে?
তাঁর সাবলীল উত্তর, “ভবিষ্যতে ভাল বাবা, বর্তমানে ভাল ছেলে কিনা আমি জানি না। তবে আমি চাই ভাল মানুষ হতে।” বাবা-মেয়ের এই অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি যে ভাল লেগেছে দর্শকদের, সে প্রমাণ মিলেছে টিআরপির খাতায়। এই সপ্তাহে প্রথম হয়েছে দিব্যজ্যোতির ধারাবাহিক। টিআরপির এই ওঠাপড়া কি আদপে তাঁকে ভাবায়? তাঁর কথায়, “সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে। সবাই নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে। আর সেই কারণেই টিআরপি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দিনের শেষে দর্শক হল টপ বস। তাঁদের সিদ্ধান্তই সবার আগে। যদি কোনওদিন দশে চলে যাই, চেষ্টা থাকবে কী করে একে আসব তার, আর একে যখন এসেছি তখন চেষ্টা করে যাব কী করে আরও ভাল পারফর্ম করা যায়।”
প্রথম থেকেই যে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ একে ছিল তা কিন্তু নয়। কখনও প্রথম পাঁচ আবার কখনও বা প্রথম দশে জায়গা করে নিচ্ছিল ওই ধারাবাহিক। এবার তারা এক, ‘বাজিগর’ আখ্যা কি দেওয়া যায়? হাসতে হাসতে দিব্যজ্যোতির উত্তর, “হার কর জিতনে ওয়ালো কো বাজিগর বলতে হ্যায়। আমরা তো কখনই সেভাবে হেরে যাইনি। তবে অন্যভাবে দেখতে গেলে বাজিগর তো বটেই।” অনস্ক্রিন-অফস্ক্রিন খুনসুটি, জিমের সঙ্গে প্রেম, আর ভাল অভিনয়ের চেষ্টা– এই নিয়েই আপাতত ভীষণ ব্যস্ত অভিনেতা। টিআরপিতে প্রথম স্থান যাতে ধরে রাখতে পারেন, সেটাই চাইছেন তিনি।