Biswajit Ghosh Interview: ১২ বছর কেটে গেলেও সিনেমা-সিরিজে ডাক পাইনি: বিশ্বজিৎ ঘোষ
Bengali Serial: 'খেলনা বাড়ি'র সেট। কুঁদঘাট সংলগ্ন স্টুডিয়োয় তখন বেজায় ব্যস্ততা। ঘড়ির কাঁটা বলছিল বিকেল গড়িয়ে গিয়েছে, কিন্তু নায়ক-নায়িকাদের ব্যস্ততা এতটুকু কমেনি। এরই মধ্যে খানিক ব্রেক মিলল নায়কের। নায়ক মানে ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী ওরফে বিশ্বজিৎ ঘোষের। মেকআপ রুমেই তাঁর অনেক না পাওয়ার সাক্ষী থাকল টিভিনাইন বাংলা।
সেটে সারাটা দিন কতটা হেক্টিক (ব্যস্ততা) থাকে?
মারাত্মক। দম ফেলার সময় থাকে না। শুধুমাত্র একটা লাঞ্চ ব্রেক থাকে। আর তারপরেই আবার শুরু।
পরিবারকে সময় দিতে পারেন?
অফিসিয়ালি মাসের দ্বিতীয় রবিবার… আর যদি মাঝেমধ্যে ছুটি পেয়ে যাই তখন দেওয়া হয়।
বাস্তবজীবনে এত শান্ত, এত চুপচাপ– চরিত্রগুলোও ওরকমই পান, সুবিধে হয়?
একটা সময়ের পর তো রিল আর রিয়েল মিশে যায়। ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা ওই চরিত্র যাপন করি, তখন সবটাই মিলে মিশে এক হয়ে যায়।
অনেকগুলো বছর ইন্ডাস্ট্রিতে, প্রথম ব্রেক কবে পেয়েছিলেন কবে মনে আছে?
হ্যাঁ, আলবাৎ মনে আছে। প্রথম ব্রেক পেয়েছিলাম ‘ওগো বধু সুন্দরী’ বলে এক ধারাবাহিকের। আমার চরিত্রের নাম ছিল কমল।
আর সালটা?
(খানিক ভেবে) মনে হয় ২০০৯।
এতগুলো বছর কেটে গেল এখনও শুধু ধারাবাহিকেই কেন আপনাকে দেখা যাচ্ছে? ইচ্ছাকৃত নাকি বাধ্য হয়ে?
বাধ্য বলব না। বাধ্য কেউ করেনি। অভিনয়টা করব বলেই এসেছিলাম। শুরুর দিকে ধারাবাহিকই করব ভেবেছিলাম। তখন কোনও সিনেমায় অডিশন দেওয়া বা ডাক পাওয়া হয়ে ওঠেনি। আমি তখন ধারাবাহিককে বেছে নিয়েছিলাম। এখন সিরিয়াল আমাকে বেছে নিয়েছে। আর তা ছাড়া সিরিয়ালের মধ্যেই কোথাও যে অফ নিয়ে একটু সিনেমার চরিত্র নিয়ে ভাবব, বা ওয়েব সিরিজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করব, সেটা হয়ে উঠছে না।
কিন্তু অন্যান্য অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী তো ধারাবাহিকের পাশাপাশি ওয়েব-সিনেমাতেও কাজ করছেন।
আমিও তাঁদের কাছে জানতে চাই, ‘সময়টা কী করে পায় তাঁরা? অ্যাডজাস্ট কী করে করেন তাঁরা?” আমি যদি ১৪ ঘণ্টা কাজের পর একদিন অফ চাই, সেটে সবাই বলেন, ‘না আজকেই তোকে লাগবে’। আর সত্যি কথা বলতে, সে রকম কিছু আসেওনি আমার কাছে। এখন যদি করণ জোহর আমায় ফোন করেন, তখন তো আমি নিশ্চয়ই বলব না যে, ‘না, আমি খেলনা বাড়ি নিয়ে ব্যস্ত।’
করণ জোহরই কেন! বাংলাতেও অনেক ভাল পরিচালক রয়েছেন…
করণ জোহর বললাম কারণ, তিনি বুঝতে পারছেন বাংলায় ট্যালেন্ট আছে। বাংলার অনেকে সেটা বুঝতে পারছেন না। ঠিক একই ভাবে হয়তো আমিও দূরে আছি। আরও কিছুটা সময় লাগবে হয়তো।
খারাপ লাগে?
না খারাপ লাগার কী আছে! কোনওদিন ডাকই তো পাইনি।
আপনার কি পিআর (জনসংযোগ) খারাপ?
এই যে পিআর কী করে হয় আমি জানি না। কিন্তু লোকে বলে খারাপ, তালে হয়তো খারাপ। পার্টিতে যাই না। বিগত ১২ বছর ধরে শুটিং বাড়ি, বাড়ি শুটিং করেই চলে গিয়েছে।
পাঁচ বছর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
যেভাবে সময়ের পরিবর্তন হচ্ছে তাতে ধারাবাহিকের অবস্থা কী হবে কেউ জানে না। ওটিটি সব কিছুর দখল নিচ্ছে। তাই হয়ে যাক না কেন, আমি যেন সেই জায়গাতেই একটা ভাল জায়গায় নিজেকে রাখতে পারি।