Misty Singh: রাজকীয় মেজাজে এক হলেন মিষ্টি-রেমো, হাজির মুখ্যমন্ত্রীও, পা ছুঁয়ে প্রণাম নবদম্পতির
Misty Singh: ইস্টার্ন বাইপাসের ঝাঁ চকচকে হোটেল তখন আলোয় ঝলমলে। বধূবেশে এন্ট্রি নিলেন মিষ্টি সিং। না, বাঙালি সাজে সাজেননি তিনি। খোলা চুল, লেহেঙ্গা আর ভারী গয়নায় নিজেকে সাজিয়েছিলেন মিষ্টি। মাথায় ছিল ঘোমটা আর নাকে ভারী নথ। অতিথিরাও ইতিমধ্যেই হাজির হতে শুরু করেছিলেন।
ইস্টার্ন বাইপাসের ঝাঁ চকচকে হোটেল তখন আলোয় ঝলমলে। বধূবেশে এন্ট্রি নিলেন মিষ্টি সিং। না, বাঙালি সাজে সাজেননি তিনি। খোলা চুল, লেহেঙ্গা আর ভারী গয়নায় নিজেকে সাজিয়েছিলেন মিষ্টি। মাথায় ছিল ঘোমটা আর নাকে ভারী নথ। অতিথিরাও ইতিমধ্যেই হাজির হতে শুরু করেছিলেন। তৃণা সাহা থেকে দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়– বাদ ছিলেন না কেউই। এরই মধ্যে শেরওয়ানি আর কুর্তায় নিজেকে মুড়ে হাজির হলেন বর রেমো। একেবারে জমকালো প্রবেশ তাঁরও। তাসা পার্টি থেকে শুরু করে নাচ-গান আরও কত কী… মিষ্টিও হাসিমুখে অতিথিদের স্বাগত জানাচ্ছিলেন। নাক থেকে নথ খসে যাচ্ছিল বারংবার… তাতে যদিও নায়িকার বিরক্তি নেই এতটুকুও। বর-কনে একই দিনে একটি অনুষ্ঠানেরই আয়োজন করেছিলেন। তাই আংটি বদল থেকে আইনি বিয়ে… সবই হল এক এক করে। আচমকাই সকলের মধ্যে ব্যস্ততা। নিরাপত্তারক্ষীরাও অতি সক্রিয়। ব্যাপারটা কী? আগত অতিথিদের মধ্যে কৌতূহল বাড়িয়েই হাজির খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসিমুখে এগিয়ে গেলেন বর-কনের দিকে। পা ছুঁয়ে নবদম্পতি চেয়ে নিলেন আশীর্বাদ। খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও কম ছিল না। সব মিলিয়ে জমে গেল রেমো-মিষ্টির বিশেষ দিনটি।
তাঁদের বহুদিনের প্রেম। প্রায় ১৪ বছরের সম্পর্ক রেমো ও মিষ্টির। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই জানতেন। তবে নিজেরা কোনওদিনও সেভাবে প্রকাশ্যে আনেননি ভালবাসা। তবে প্রেম ছিল অন্তরে যা পূর্ণতা পেল এ দিন সন্ধেয়। প্রসঙ্গত, ছোট পর্দা থেকেই কেরিয়ার শুরু তাঁর। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘আলতা ফড়িং’ ধারাবাহিকে। তবে ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে আজও চেনেন ‘ভাদু’ হিসেবেই। তাঁর ঢলঢলে মুখ, ডাগর চোখের মোহে বুঁদ কিন্তু অনেকেই। যদিও মিষ্টি মন দিয়েছে রেমোকেই, সেই কত বছর আগে। আগামী দিনগুলোতে পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাঁর। নতুন জীবনের জন্য টিভিনাইন বাংলা দম্পতিকে জানায় অনেক শুভেচ্ছা।