Trina Saha: মন খারাপ তৃণার, তাঁকে আনন্দ দিতে ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের সকলে ডেকে আনলেন আইসক্রিম দাদাকে
Trina Saha: এই কাণ্ড দেখে মন ভাল হতে বাধ্য। তৃণার আর মন খারাপ নেই।
খুব মন খারাপ ছিল তৃণা সাহার। শুটিংয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ‘খড়কুটো’র সেটে গিয়েছিলেন তিনি। মনমরা হয়ে ছিলেন। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকে গুনগুন চরিত্রে অভিনয় করে তৃণা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এখন তাঁকে গুনগুন বলেই ডাকেন দর্শক। গুনগুনের মতোই স্বভাবগতভাবে চুলবুলি তৃণা। ফলে তিনি মন খারাপ করে থাকলে সকলেই অখুশি থাকেন। তাই তাঁকে ভাল রাখতে দারুণ কাণ্ড ঘটাল ধারাবাহিকের সকলে। স্টুডিয়ো ফ্লোরে নিয়ে গেল আইসক্রিমের গাড়ি। আইসক্রিম দাদাকে পাকড়াও করে আনা হয়েছিল। সবটা দেখে মন ভাল হয়ে যায় তৃণার। স্টুডিয়োতে আইসক্রিমের গাড়ি আসতে দেখে লাফালাফি শুরু করে দেয় ‘গুনগুন’। শিল্পী থেকে কলাকুশলী – সকলের হাত ধরে টেনে নিয়ে আসেন বাইরে। কিছুক্ষণের বিরতি নিয়ে সেটেই চলে আইসক্রিম পার্টি।
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
View this post on Instagram
২৪ মার্চের ঘটনা। প্রয়াত হন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে তিনিই ছিলেন ডঃ কৌশিকের চরিত্রে। চরিত্রটি গুনগুনের বাবার। তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকত গুনগুন। পর্দার বাইরেও নাকি ড্যাডি বলেই ডাকতেন তৃণা। অভিষেকের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন তৃণাও। দুর্দান্ত অভিনয়ে আবারও দর্শকদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছিল ডঃ কৌশিক, থুড়ি অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
মৃত্যুর একদিন আগেও ‘খড়কুটো’তে অভিনয় করেছিলেন অভিষেক। সেটেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২৪ মার্চ তিনি প্রয়াত হন। তারপর থেকেই ‘খড়কুটো’র সেটে কারও মন ভাল থাকত না। মনমরা হয়ে থাকতেন তৃণা। অভিষেকের চরিত্রটাই আর রাখা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Raveena Tandon: স্টুডিয়ো ফ্লোরে লোকের বমি পরিষ্কার করেছিলেন, রবিনা টন্ডনের যাত্রা সহজ ছিল না