ধারাবাহিকের ট্র্যাক বলছে প্রেমে ভাসছে মিঠাই আর তাঁর উচ্ছে বাবু। সৌমিতৃষার (Soumitrisha Kundu) জন্মদিনেও সেই প্রেমের জোয়ার। লালে লাল হল মিঠাই পরিবার। সঙ্গে একগুচ্ছ উপহার, সাদা-লাল বেলুন আর রকমারি কেক। মাঝরাতেই ইন্ডাস্ট্রির তিন বন্ধু রিয়াজ লস্কর, শুভ্রজিত সাহা আর সায়ক চক্রবর্তীর থেকে সারপ্রাইজ পেয়েছিলেন মিঠাই। কিন্তু ‘পিকচার তো অভি বাকি থা’।
মিঠাই পরিবারের তরফ থেকেও সৌমিতৃষার জন্মদিন পালিত হল ধুমধাম করে। লাল শাড়িতে সেজেছিলেন সৌমিতৃষা। খোলা ছাদে তখন কলকাতার বুকে রাত নেমেছে। হাতে ছুড়ি, খোলা চুলে সৌমিতৃষা কাটলেন তিন তিনটে কেক। চলল কেক খাওয়া পর্বও। উচ্ছেবাবুও অনস্ক্রিন বৌকে আদর করে খাইয়ে দিলেন কেক। কিন্তু কেক মাখা? নৈব নৈব চ। মিঠাইয়ের কড়া বারণ। উপহার? তাও যে অগুনতি। হলদে গোলাপ, চকোলেট, ব্যাগ– বাদ নেই কিছুই। অভিনেত্রীর তখন গাল জুড়ে হাসি। ইন্ডাস্ট্রিও যে পরিবার হতে পারে সেই ঝলকই যেন মিলল তাঁর জন্মদিনে।
গত এক বছর ধরে বেঙ্গল টপার ছিল মিঠাই। কিন্তু নতুন বছরের সাম্প্রতিক হিসেব বলছে টিআরপি’র অঙ্কে মিঠাই আর বেঙ্গল টপার নেই। তাতে কী? জি-বাংলার টপারের স্থান সে ধরে রেখেছে আজও। সৌমিতৃষাও যেন কখন হয়ে গিয়েছেন আমজনতার ঘরের মেয়ে। মিঠাইয়ের সুখ দুঃখের ভাগীদার যেন তাঁরাও। সেই মিঠাইয়ের যখন জন্মদিন তখন ফ্যানক্লাবগুলোও কি চুপ করে বসে থাকতে পারে? এসেছে অগুণতি উইশ, শুভেচ্ছায় ভরে গিয়েছে মন্তব্য-বাক্স। আর মিঠাই?
আপ্লুত তিনিও। একসঙ্গে এত ভালবাসায় একটাই কথা তাঁর, “এরকম পরিবার পেয়ে আমি ধন্য”। টিআরপি’র অঙ্কের হিসেব তোলা ছিল গতকাল। একটা জন্মদিন আর তাতেই যেন হঠাৎ খুশির জোয়ার নেমে এসেছিল পরিবারের অন্দরেই।
আরও পড়ুন- Rhea Chakraborty: ভালবাসার কথা রিয়ার মুখে, জানালেন কোন জিনিস জীবনে এনেছে সুখ