বিগবস ওটিটিতে প্রতিযোগী হয়ে এসেছিলেন রাকেশ বাপাট। তাঁর নম্র স্বভাব ও শমিতা শেট্টির সঙ্গে বিশেষ রসায়ন মনে ধরেছিল দর্শকদের। শুরু হচ্ছে টিভির বিগবস। এক সংবাদমাধ্যমকে রাকেশ জানিয়েছেন বিগবস থেকে নাকি ডাক এসেছে তাঁর। তবে এই মুহূর্তে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি দোটানায়। নেপথ্যে রয়েছে এক বিশেষ কারণ। কী সেই কারণ? তা নিয়েও মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
রাকেশ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাঁর হাতে বিগবসের থেকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। তা হল শুটিং। তাঁর কথায়, “ওটিটিতে ঢোকার আগে বেশ কিছু প্রজেক্ট শেষ না করেই চলে যেতে হয়েছিল। তাই বিগবস ১৫তে অংশ নেব কিনা তা স্থির করতে পারিনি। শীঘ্রই আপনাদেরকে জানাব।”
একদিকে রাকেশ যখন দোটানায় তখন শমিতা শেট্টি যে বিগবস ১৫-র অংশ হতে চলেছে তা একেবারে নিশ্চিত। বিগবসেরর নয়া সিজনের অংশ হচ্ছেন প্রতীক সহজপাল ও রাকেশ বাপাটও। যদিও বিগবস ওটিটির বিজেতা দিব্যা আগরওয়াল ওই শো’র অংশ হবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন দিব্যা। তাঁর কথায়, “এখনও পর্যন্ত আমাকে পরিষ্কার করে কিছু জানানো হয়নি। আমি নিজেই ওদের থেকে ফোনের অপেক্ষায় রয়েছি। বিগবস ওটিটিতে প্রবেশের সময় বলা হয়েছিল, ওটিটির কিছু প্রতিযোগী টিভির বিগবসে অংশ নেবেন। যদিও সেখানে বলা ছিল না যে প্রতিযোগী ব্রিফকেস নিয়ে বেরিয়ে গেলেন তিনি নাকি ট্রফি জিতলেন তিনি– সরাসরি বিগবসের ঘরে প্রবেশ করবেন।” দিব্যার নিশানা প্রতীক সহজপালের দিকে। ওটিটিতে বিজয়ী হওয়ার মোহ ত্যাগ করে ফাইনালের দিন প্রথমেই নিজেকে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে নেন প্রতীক।
ওটিটির ফিনালের দিন ফাইনালিস্টদের কাছে এক ব্রিফকেস রেখে বলা হয়, নয় বিজয়ী হওয়ার জন্য অপেক্ষা কর, অথবা ওই ব্রিফকেস নিয়ে চলে যাও। ওই ব্রিফকেস নিয়ে যে বেরিয়ে যাবেন তিনি সরাসরি সলমনের বিগবসের অংশ হতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছিল ওটিটি বিগবসের তরফে। প্রতীক সহজপাল এক মুহূর্ত চিন্তা না করেই ব্রিফকেস নিয়ে সরে আসেন প্রতিযোগিতা থেকে। দিব্যা হন বিজেতা। পুরস্কারমূল্য হিসেবে দিব্যার ঝুলিতে আসে ২৫ লক্ষ টাকাও। দ্বিতীয় হন নিশান্ত ভাট। অন্যদিকে তৃতীয় স্থানে দেখা যায় শমিতা শেট্টিকে। যদিও বিগবস ১৫ তে অংশ নিতে দিব্যা যে আগ্রহী। তা তিনি জানিয়েছেন। রাকেশ কী করবেন, এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন-Arti Singh: গোবিন্দা ও ভাগ্নে অভিষেকের ঝামেলার খেসারত দিতে হচ্ছে আরতিকে!
আরও পড়ুন–Aparajita Adhya: ‘পঁচিশ বছরে কোনওদিন হেয়ার-কাট করিনি, বাধ্য হয়েই কাটতে হল’