Durga Puja 2021: পুজোর জামা হিসেবে সব শীতের জামা কিনেছি: সঙ্ঘমিত্রা তালুকদার
Durga Puja 2021: আমার নিজের বাড়ি কাকিনাড়ায়। ছোটবেলার পুজো সেখানেই কেটেছে। পঞ্চমী বা ষষ্ঠী পর্যন্ত স্কুল হত। শেষ দিনটা পুজোর জামা পরে যেতাম।
বাঙালির দুর্গাপুজো আর ভ্যালেন্টাইনস ডে কথাতেই আছে। কিন্তু আমার জীবনে এই দুটোর কোনওটাই এখনও পর্যন্ত সে ভাবে কাজ করেনি। আমি অপেক্ষায় আছি, দুর্গাপুজোয় যদি ভ্যালেন্টাইন আসে। পরের দুর্গাপুজোয় যদি প্রেম হয়, দেখা যাক।
এই দুর্গাপুজোতে তো প্রেম হবে না। কারণ আজ, ষষ্ঠী পর্যন্ত শুটিং করছি। তারপর বেড়াতে যাচ্ছি। প্রত্যেক দুর্গাপুজোতে বেড়াতে যাই। গত আট বছর ধরে পুজোতে এটাই রুটিন। কলকাতায় থাকি না। কোনওবার পরিবারের সঙ্গে। কোনওবার একা ট্রাভেল করি। এ বার পরিবারের সঙ্গেই যাচ্ছি। পুরো পরিবার নয়। আমার বোন, ওর ফিয়ন্সে এবং আমি। করোনার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারছি না। সিকিম যাচ্ছি। পুজোর জামা হিসেবে সব শীতের জামা কিনেছি। এ বছর এথনিক কিছু কিনিনি। সব উইন্টার ওয়্যার হয়েছে।
সকলেই জানে, আমি টিপিক্যাল বাঙালি খাবার পছন্দ করি। আলুসেদ্ধ, ঘি, মাছভাজা বা ডিমসেদ্ধ, শুক্তো, পোস্ত ভালবাসি। কিন্তু অ্যাডজাস্ট করতে হবে এ বার। কারণ পাহাড়ি খাবারে কাটবে পুজো। কাজের সূত্রে কলকাতায় থাকি আমি। ফলে বাড়ির খাবার, মায়ের হাতের রান্না প্রতিদিনই মিস করি। পুজোতেও মিস করব। অষ্টমীর সকালে লুচি, ঘুগনি, আলুরদমের কথা মনে পড়বে খুব।
আমার নিজের বাড়ি কাকিনাড়ায়। ছোটবেলার পুজো সেখানেই কেটেছে। পঞ্চমী বা ষষ্ঠী পর্যন্ত স্কুল হত। শেষ দিনটা পুজোর জামা পরে যেতাম। এতগুলো জামার মধ্যে কোন জামাটা পরে সে দিন স্কুলে যাব, সেটা দেখানোর একটা ব্যাপার থাকত।
আমরা দুই বোন। আমরা বড় হয়েছি। বাবার বাইপাস সার্জারি হওয়ার পর থেকে আর আমাদের পারিবারিক ব্যবসায় কাজ আর করতে দিই না। হঠাৎ করেই বড় হয়ে গিয়েছি। প্রথমে তো দায়িত্ব ছিল না। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর দায়িত্ব বুঝতে শিখেছি। আমি বংশের বড় মেয়ে। খুব আদুরে। আমার নামই ছিল আহ্লাদী। চেষ্টা করি পুজোর সময় বাবা-মাকে ওদের পছন্দের কিছু দিতে। তবে এখনও বাবা, মা আমাকে সামলায়।
আরও পড়ুন, Satyaki Banerjee: পুজোর পরই ‘একচালা’র আমন্ত্রণ, থাকবেন সাত্যকি এবং বর্ণ অনন্যর শিল্পীরা