এক বছর। গোটা একটা বছর পেরিয়ে এলেন তাঁরা। অর্থাৎ স্বস্তিকা দত্ত এবং শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। অভিনেত্রী এবং গায়কের সম্পর্কের কথা টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অজানা নয়। কখনও দুর্গাপুজোয় একসঙ্গে। কখনও একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়া। কখনও বা নেহাতই কফি ডেট। দুই শিল্পীর বন্ধুত্ব পেরিয়ে এল গোটা একটা বছর। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ছবি দিয়ে সেই এক বছর সেলিব্রেশনের একটি পোস্ট করেছেন শোভন।
শোভনের সঙ্গে বন্ধুত্বের এক বছর পেরিয়ে এসে TV9 বাংলাকে স্বস্তিকা বললেন, “আমরা তো জন্মদিন সেলিব্রেট করি। তা হলে বন্ধুত্বের অ্যানিভার্সারিও সেলিব্রেট করা উচিত। এই এক বছরে আমি বুঝেছি আমার আর শোভনের মধ্যে কখনও ইগো আসবে না। আমরা পৃথিবীর যেখানেই থাকি, যদি সম্পর্ক নাও থাকে, একে অপরের প্রতি ঘৃণা আসবে না। পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকবে সব সময়। কাউকে পছন্দ হলে সে কথাটা প্রথম শোভনকেই বলব আমি।”
স্বস্তিকা জানালেন, গতকাল রাতে মুম্বই থেকে কাজ সেরে ফিরেছেন শোভন। তাঁকে আনতে রাতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। “শোভনের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর গতকাল আমি প্রথম জিজ্ঞাসা করেছি, ‘মুম্বইতে কোন মেয়েকে পছন্দ হল? কাদের ঝাড়ি মারলি?’ আমাদের সম্পর্কটা এমন সহজ। আমি ওর ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করি। আবার আমার বাড়ির চাবি ওর কাছে থাকে। এতটাই অনায়াস। আমরা বেশি কিছু ভাবি না”, বললেন স্বস্তিকা।
শোভন-স্বস্তিকা কয়েকদিন আগেই বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঠিক কোথায় বেড়াতে গিয়েছেন, সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু প্রকাশ্যে জানাননি। শেয়ার করা বিভিন্ন ছবি বা ভিডিয়ো দেখে পাহাড়ি এলাকা বলে মনে করছেন দর্শকের বড় অংশ। নিজের ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে লোকেশনে স্বস্তিকা লিখেছিলেন, ‘সামহোয়্যার আন্ডার দ্য ব্লু স্কাই।’ একটি ছবির লোকেশন ছিল সোনাদা। কখনও তাঁদের ঘরের ছবি শেয়ার করেছেন। কখনও বা শোভনের সঙ্গে খুনসুটির ভিডিয়ো।
দিন কয়েক আগেও প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘আনন্দ আশ্রম’ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন স্বস্তিকা। আজ তার শেষ শুটিং। এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে আগেই স্বস্তিকা বলেছিলেন, “এই গল্পটা থ্রিলার লেস, হন্টেড মোর। সাসপেন্স মিস্ট্রি বলতে পারেন। পরিচালক অরিজিৎ চক্রবর্তী। রুদ্রনীলদা, প্রান্তিক রয়েছে। আমার কাছে যখন চিত্রনাট্য আসে, তখন ৬৫ শতাংশ শুটিং হয়ে গিয়েছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। ওঁর প্রয়াণের পর বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু স্টোরি চেঞ্জ হয়নি। যে ভাবে লেখা ছিল স্টোরিটা, সে ভাবেই হয়েছে। আমার মনে হয়েছে স্টোরিটা ইন্টারেস্টিং। কেন এত ভাল লেগেছে, নির্দিষ্ট কারণ বলতে পারব না।” এ ভাবেই কাজ, বন্ধুত্ব, আড্ডা, আবদার নিয়ে এগিয়ে চলেছে শোভন-স্বস্তিকার জার্নি।
আরও পড়ুন, Web Film: ‘অ্যাওয়েটিং’, সম্পর্কের কোন নতুন গল্প নিয়ে আসছে এই ওয়েব ফিল্ম?
আরও পড়ুন, National Film Awards: জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে দাদাসাহেব ফালকে গ্রহণ করলেন রজনীকান্ত