AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শরীর খারাপ সত্ত্বেও এই কাজটি করেন শ্রুতি, নয়তো ‘পাপ’ হয়!

এই মুহূর্তে 'দেশের মাটি' ধারাবাহিকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রুতি। তাঁর চরিত্রের নাম নোয়া।

শরীর খারাপ সত্ত্বেও এই কাজটি করেন শ্রুতি, নয়তো 'পাপ' হয়!
শ্রুতি দাস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2021 | 11:10 PM
Share

রোদ, ঝড়, বৃষ্টি… যাই থাকুক না কেন, এই একটি কাজ করা কিছুতেই বাদ দেন না অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। যাই ঘটুক না কেন সেই কাজটি তার করা চাই-ই। কী সেই কাজ? শ্রুতির সোশ্যাল মিডিয়া ঘুরে আসলেই হদিশ মিলবে তার।

এই মুহূর্তে ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রুতি। তাঁর চরিত্রের নাম নোয়া। অন্যদিকে রাহুল অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা যাচ্ছে এই ধারাবাহিকে। তাঁর চরিত্রের নাম রাজা। সম্পর্কে তিনি নোয়ার ভাসুর। সেই রাজাদা’র সঙ্গেই পোস্ট শেয়ার করেছেন শ্রুতি।

তাঁর ক্যাপশন বলছে, আউটডোর, রোদ, ঘাম, শরীর খারাপ এই এত কিছুর সমস্যা থাকলেও, ‘সামনে সামনে ক্যামেরা দেখলে পোজ দিতে হয় নয়ত পাপ হয়।” মজার ছলেই শ্রুতির ওই পোস্ট। সঙ্গে নিজের সেট থেকে দুটি ছবি। খোলা চুল আর মিষ্টি হাসিতে তিনি যেন ‘ঘরের মেয়ে’। প্রশংসা করেছেন অনুরাগীরা। পাঠিয়েছেন ভালবাসা।

বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অল্প দিনের কেরিয়ার। কিন্তু ইতিমধ্যেই দর্শকের দরবারে তিনি পরিচিত নাম। প্রথম ধারাবাহিকেই তাঁর জনপ্রিয়তা এসেছিল। এখন ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকেও তাঁর অভিনয় বেশ চর্চিত। তবে এরই মধ্যে জুড়েছে বিতর্ক। কখনও গায়ের রঙ নিয়ে আবার কখনও ধারাবাহিকে তাঁর ভূমিকা কেন্দ্র করে শুনতে হয়েছে খারাপ মন্তব্য। প্রতিবারই শ্রুতি যদিও প্রতিবাদ করেছেন। ট্রোলারের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগও জানিয়েছেন। নিয়েছেন উপযুক্ত ব্যবস্থাও।

প্রসঙ্গত, দেশের মাটি শুরু হওয়ার পর থেকেই দর্শকের একাংশের পছন্দ রাজা-মাম্পি জুটি ওরফে রাহুল-রুকমা। তাঁদের আনন্দে ফেসবুকে গদগদ পোস্ট, তাঁদের বিরহে চোখে জল আসে ভক্তদের। ধারাবাহিকের প্লট বলছে সম্প্রতি নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েও সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন তাঁরা। উচ্ছ্বাসে যেন বাঁধ ভেঙেছিল ‘রাম্পি’ ভক্তকুলের।

এত অবধি সব ঠিকই ছিল। কিন্তু সপ্তাহ কয়েক আগে রাম্পি ফ্যানের একাংশ অতি আনন্দে শুরু করেছিল ধারাবাহিকটির অন্যান্য জুটিকে অপমান। শুরু হয়েছিল কুৎসিত ট্রোলও। এই ট্রোলিংয়ের সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছিলেন শ্রুতি দাস ওরফে নোয়া ও দিব্যজ্যোতি ওরফে কিয়ান। এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাহুল। ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, “অনেকদিন অনেক কিছু সহ্য করছি,কিন্তু রাজা-মাম্পি কে ভালোবাসার অর্থ যদি হয় আমার সহ অভিনেতা/অভিনেত্রীদের অপমান করা…রক্ষে করুন,চাই না এমন ভালোবাসা”। রাহুলের সমর্থনে এগিয়ে আসেন রুকমাও। তিনি লেখেন, “ঠিক কথা বলেছ, সব কিছুর একটা লিমিট থাকা উচিত।”

ধারাবাহিকের রয়েছে নানা ট্র্যাক। সেই ট্র্যাকের উপরেই ভিত্তি করে কখনও রাহুল-রুক্মার কেমিস্ট্রি পেয়ে যায় প্রাধান্য আবার কখনও বা শ্রুতি-দিব্যজ্যোতি জায়গা পান গোটা এপিসোড জুড়ে। এই মুহূর্তে যেমন শ্রুতির ট্র্যাকটি টানটান উত্তেজনায় ভরা। শ্রুতিও মনপ্রাণ ঢেলে অভিনয় করছেন। তার ফাঁকেই শুটের মাঝে ছবি তোলা… কারণ অভিনেত্রীর মতে , ‘সামনে ক্যামেরা দেখলে পোজ দিতে হয় নয়ত পাপ হয়’।