মুম্বইয়ে মেয়ে একা থাকত, সিদ্ধার্থ ছিল বলেই নিশ্চিন্তে ছিলাম, কিন্তু এখন…: শেহনাজের বাবা
তিনি জানান, পরিবারের মতোই শেহনাজের খেয়াল রাখতেন সিদ্ধার্থ। কিন্তু এখন মাথার উপর থেকে সেই হাত চলে যাওয়ায় মেয়ের বাবা হিসেবে তিনি চিন্তিত।
পঞ্জাব থেকে মুম্বই… দূরত্ব অনেকটাই। বিগবসের সাফল্যের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যাওয়া শেহনাজ গিলের স্থায়ী আস্তানা ছিল মায়ানগরী মুম্বই-ই। বাবা-মা’র একমাত্র মেয়ে শেহনাজ, পরিবারকে ছেড়ে কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই মুম্বই নিবাসী। একলা মেয়ে একা শহরে থাকা সত্ত্বেও খানিক নিশ্চিন্তে ছিলেন সন্তোখ সিং। জানতেন মেয়ে সুরক্ষিত রয়েছেন, কারণ সিদ্ধার্থ রয়েছেন সঙ্গে। রয়েছেন তাঁকে আগলে রাখার জন্য… কিন্তু এখন? ভয় পাচ্ছেন শেহনাজের বাবা। মেয়েকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছে তাঁর।
তিনি জানান, পরিবারের মতোই শেহনাজের খেয়াল রাখতেন সিদ্ধার্থ। কিন্তু এখন মাথার উপর থেকে সেই হাত চলে যাওয়ায় মেয়ের বাবা হিসেবে তিনি চিন্তিত। আরও চিন্তিত তাঁর মেয়ের বর্তমান অবস্থা নিয়েও। কারণ সিদ্ধার্থের হঠাৎ মৃত্যুর পরে একেবারেই ভাল নেই শেহনাজ।
শেহনাজের কোলে মাথা দিয়েই নাকি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিলেন সিদ্ধার্থ, জানাচ্ছেন মুম্বইয়ের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। অভিনেতা ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু জন জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন সিদ্ধার্থ। শরীর ভাল লাগছিল না তাঁর। তাঁর মা ও শেহনাজ দুজনেই সে সময় বাড়িতেই ছিলেন। প্রথমে লেবুর জল ও পরে সিদ্ধার্থকে আইসক্রিম খেতে দেন তাঁরা। কিন্তু তা কাজে লাগে না। অস্বস্তি বাড়তে থাকে ক্রমশ। এর পর শেহনাজ ও তাঁর মা তাঁকে আরাম করতে বলেন। কিন্তু ঘুম আসছিল না কিছুতেই। শেহনাজকে পাশে থাকতে বলেন সিড। পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে বলেন।
শেহনাজ তাই করতে থাকেন। শেহনাজের কোলে মাথা দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন সিদ্ধার্থ, সূত্র বলছে তেমনটাই। ঘুমিয়ে পড়েন শেহনাজও। পর দিন সাতটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে শেহনাজ দেখেন ঠিক একই রকম ভাবে ‘ঘুমিয়ে’ আছেন সিদ্ধার্থ। তিনি ডাকতেই বুঝতে পারেন, সিদ্ধার্থ সাড়া দিচ্ছেন না। ভয় পেয়ে পরিবারের বাকিদের ডাকতে ছুটে যান তিনি। ফোন করা হয় পারিবারি ডাক্তারকেও। তিনি এসেই বুঝতে পারেন সিদ্ধার্থ নেই। নিয়ে যাওয়া হয় কুপার হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এক সংবাদমাধ্যমকেও একই কথা জানিয়েছেন শেহনাজের বাবাও। মুম্বইয়ের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, মেয়েকে ফোন করা মাত্রই নাকি কান্নায় ভেঙে পড়েন শেহনাজ। বাবাকে বলতে থাকেন, “পাপা উসনে মেতে হাথো মে দম তোড়া হ্যায়… অব ম্যায় ক্যায়া করুঙ্গী? ক্যায়সে জিউঙ্গি?” শেহনাজের পাশে রয়েছেন তাঁর অগণিত ভক্তরা। বৃহস্পতিবারেই মুম্বইয়ে পৌঁছেছেন শেহনাজের দাদা। সিদ্ধার্থের মৃত্যুর এই আকস্মিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠুক শেহনাজ, আপাতত এটাই প্রার্থনা তাঁর অনুরাগীদের।
আরও পড়ুন- Sidharth Shukla: আলিয়ার বিপরীতে বলি-ডেবিউ, বচ্চন-ভক্ত সিদ্ধার্থের দীর্ঘ সময় কাটত জিমেই
আরও পড়ুন-‘এবার থেকে কুনজরে বিশ্বাস করব…’, সিদ্ধার্থের অকালমৃত্যু মানতেই পারছেন না ওঁরা!