Dibyojyoti Dutta: রাজামৌলির ছবিতে সুযোগ পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বাংলা সিরিয়ালের দিব্যজ্যোতি দত্ত? নিত্যদিন চলছে মেহনত!

Dibyojyoti Dutta: ইদানীং সিরিয়ালের অভিনেত্রীর সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্সের ট্র্যাকও চলছে দিব্যজ্যোতি দত্তর।

Dibyojyoti Dutta: রাজামৌলির ছবিতে সুযোগ পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বাংলা সিরিয়ালের দিব্যজ্যোতি দত্ত? নিত্যদিন চলছে মেহনত!
দিব্যজ্যোতি দত্ত ও এস এস রাজামৌলি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 29, 2022 | 10:52 PM

সিরিয়ালের পরিচিত মুখ দিব্যজ্যোতি দত্ত। ছোট-ছোট পা ফেলে একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। কখনও দ্বিতীয় লিডে অভিনয় করেননি। বরাবরই ছিলেন লিড অভিনেতা। জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলির তালিকায় ছিল ‘জয়ী’, ‘চুনিপান্না’, ‘দেশের মাটি’…। সম্প্রতি তিনি অভিনয় করছেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে। দিব্যজ্যোতি দারুণ নাচেন। জীবনে বড় হওয়ার ইচ্ছা আছে তাঁর। অভিনয় করেন মন দিয়ে। প্রচণ্ড জিম করেন। শরীর সম্পর্কে মারাত্মক সিরিয়াস। ভুল করেও একটি মিষ্টির কণা দাঁতে কাটেন না। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে ডঃ সূর্যর চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। সিরিয়াস চরিত্র। ইদানীং, অভিনেত্রীর সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্সের ট্র্যাকও চলছে তাঁর। তাঁরই মাঝে স্টুডিও ফ্লোরের বাইরে নাচে মাতলেন দিব্যজ্যোতি। তিনি নাচলেন প্রাণ খুলে। নাচের ট্র্যাক ছিল এস এস রাজামৌলির ‘আরআরআর’ ছবির গান ‘নাট্টু নাট্টু’।

কেবল অনুরাগীরা নন, সিরিয়াল দুনিয়ার সহ-অভিনেতা, পরিচিতরা তাঁকে বাহবা জানিয়েছেন। দিব্যজ্যোতির ‘চুনিপান্না’ ধারাবাহিকের নায়িকা অন্বেষা হাজরা তাঁকে সকলের সামনে কিছুই বলেননি। ইনবক্সে চেক করতে বলেছেন।

কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছিলেন দিব্যজ্যোতি:

“যে পৃথিবীটা তোমার আমার ছিল, সেখানে আজ আর বৃষ্টি নামে না। সোনালি রোদের স্বপ্ন দিয়ে আঁকা আমাদের সুখের সীমানা আজ দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। চেনা আকাশ আজ অচেনা, সেখানে ভোর হয় না, সন্ধ্যা নামে না। ঋতু পরিবর্তন যেন থমকে গিয়েছে কোনও এক অজানা কারণে। যে নক্ষত্র আমাদের স্বপ্ন দেখা শিখিয়েছিল, সে আজ আর আমাদের পৃথিবীকে ভালবাসে না। আজ তাই আকাশ অন্ধকার। কেন জানো? কারণ ফুলের থেকেও মিষ্টি যে হাসিটা ছিল ওই স্বপ্নের পৃথিবীতে, আজ তা বিলুপ্ত। কোনও সান্ত্বনার বাঁধ তাই দুঃখের এই জলপ্রপাতকে আজ আটকাতে অক্ষম। অনেক বার ভেবেছিলাম আমাদের কল্পনায় আঁকা সেই সুন্দর বাগানে দুজনে একসাথে হাত ধরে হেঁটে যাব। কিন্তু আজ আমি অসহায়। সেই বাগানের ফুলগুলো কোনও এক দমকা হাওয়ায় ঝরে পড়ে গেছে। সেই বাগান আজ শুধুই এক প্রাণহীন জঙ্গল। তবু রোজ আমি দূরে কোন নক্ষত্রের পথে পা বাড়াই যেখানে আমাদের পৃথিবীকে কেউ চেনে না। আমি জানি তুমি প্রতিবারের মতই আবারও আমাদের পৃথিবীকে সাজানোর মিথ্যে স্বপ্ন দেখাবে। এই স্বপ্ন দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত। তাই তোমার দেখানো অলীক স্বপ্নের পথ ছেড়ে আমি হাঁটবো এক নতুন স্বপ্নঘেরা পথে। সেই পথ আর স্বপ্ন দুটোরই নায়ক আমি নিজেই। ক্ষমা করো আমায়।

ইতি, তোমার এক শুভাকাঙ্ক্ষী।”