Sriparna Roy: মা মৃত্যুশয্যায়; মেকআপ মুখে, চিত্রনাট্য হাতে দর্শককে হাসাতে হয়েছিল শ্রীপর্ণাকে

Bengali Serial: নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে কাজ করতে শুরু করেন অভিনেত্রী। এই শ্রীপর্ণাকেই কিন্তু একবার সিরিয়াল থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল চ্যানেল। তাঁকে দিয়ে নাকি টিআরপি উঠছে না।

Sriparna Roy: মা মৃত্যুশয্যায়; মেকআপ মুখে, চিত্রনাট্য হাতে দর্শককে হাসাতে হয়েছিল শ্রীপর্ণাকে
শ্রীপর্ণা রায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 01, 2023 | 5:24 PM

বাঙালি অভিনেত্রী শ্রীপর্ণা রায়কে চেনেন সকলেই। তিনি বাংলা সিরিয়ালের অতিপরিচিত মুখ। ‘আচঁল’, ‘কড়িখেলা’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে টুসু, পারমিতার মতো চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি অভিনয় অন্তঃপ্রাণ। অভিনয় ছাড়া কিছুই জানতেন না, চিনতেন না ছোট থেকেই। বালিকা বয়স থেকে ক্যামেরার সামনে অভিনয় ‘প্র্যাকটিস’ করতেন। লেখাপড়া শেষ করা ছিল পরিবারের কাছে শর্ত। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করেই পেশাগত অভিনয়ে নাম লিখিয়ে ফেলেন শ্রীপর্ণা। বাবা-মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান বাইরে গিয়ে কাজ করবে, সে রকম চাহিদা ছিল না তাঁদের। চাইতেন, মেয়ে সুখে থাক। কিন্তু শ্রীপর্ণার মনে সংশয় কিছুতেই যাচ্ছিল না। তিনি শঙ্কিত ছিলেন, বাবা-মা তাঁর বিয়ে দিয়ে দেবেন এবং তাঁর অভিনেত্রী হওয়ার সমস্ত বাসনাই অপূর্ণ থেকে যাবে। তাই নিজ চেষ্টায় নিজেই অডিশনে গিয়েছিলেন। ২০০-৩০০জন অংশগ্রহণকারীকে টপকে নির্বাচিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী হিসেবে। বলেছিলেন, ১৮ ঘণ্টার জায়গায় ২৪ ঘণ্টাও তিনি অভিনয় করতে রাজি। নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে কাজ করতে শুরু করেন অভিনেত্রী। এই শ্রীপর্ণাকেই কিন্তু একবার সিরিয়াল থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল চ্যানেল। তাঁকে দিয়ে নাকি টিআরপি উঠছে না। সেই কথাও একটি টক শোতে এসে জানিয়েছিলেন শ্রীপর্ণা।

আরও আছে, অভিনেত্রীদের জীবন ভারী দুর্বিষহ। ভারী কঠিন। একদিকে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন মা। অন্যদিকে চিত্রনাট্য হাতে মাকে শুটিং ফ্লোর থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন শ্রীপর্ণা। মায়ের মৃত্যু আসন্ন জেনেও ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে লোক হাসানোর অভিনয় করে যেতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। জানিয়েছেন নিজ মুখেই।

এছাড়াও, কাজ থেকে বাদ পড়েছিলেন যখন লোকের টিপ্পনি তাঁকে শান্তি দেয়নি। দর্শক এসেই তাঁকে জিজ্ঞেস করেছেন, কাজ পাচ্ছে না কেন। কেউ জিজ্ঞেস করেননি, নতুন কাজ কবে আসবে। কাজ কেন জুটছে না, সেটাই ছিল সকলের চিন্তার একমাত্র কারণ।