জন্মদিন সেলিব্রেশনে মন্দারমণিতে তিয়াশা রায়, সঙ্গী কে?
Tiyasha Roy: পরিবারের কেউ নেই, এ বছরের জন্মদিন কি তবে একাই কাটাচ্ছেন তিয়াশা?
জন্মদিন। অনেকের মতোই স্পেশ্যাল অভিনেত্রী তিয়াশা রায়ের কাছে। গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে যাঁকে দর্শক ‘শ্যামা’ নামে চেনেন। সৌজন্যে ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’। তিয়াশা আজ বার্থডে গার্ল। কী ভাবে জন্মদিন কাটাচ্ছেন? TV9 বাংলার সঙ্গে শেয়ার করলেন অভিনেত্রী।
সোমবার সকালে তিয়াশা বললেন, “গতকাল রাতে সেলিব্রেট করেছি। কেক করেছি। বন্ধুরা রয়েছে আমার সঙ্গে। বাড়ি থেকে এ বার কেউ আসেনি। দাদু মারা গিয়েছেন কয়েকদিন আগে। ১৫ অগস্ট দাদুর একটা কাজও ছিল।”
পরিবারের কেউ নেই, এ বছরের জন্মদিন কি তবে একাই কাটাচ্ছেন তিয়াশা? অভিনেত্রী বললেন, “আমি এখন মন্দারমণিতে। বন্ধুদের সঙ্গে। কোনও বার এমন কাটায়নি। এ বার নিজের মতো কাটাচ্ছি। এত গিফট পেয়েছি। সব কিছু এখনও দেখা হয়নি। আগেই ফ্যানদের গিফট ইনস্টাগ্রাম লাইভে ওপেন করেছিলাম।” আর সুবান? তিয়াশার স্বামী কী উপহার দিলেন? চটজলদি তিয়াশার উত্তর, “ওটা পার্সোনাল।”
View this post on Instagram
জন্মদিনের আগেই বড় করে জন্মদিনের সেলিব্রেশন হয়েছে তিয়াশার। সৌজন্যে তাঁর অনুরাগীরা। কেক, উপহার, সেলফি কোনও আনন্দই বাদ পড়েনি। অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করেন তিয়াশা। জন্মদিনের আগেই তাঁকে উপহারে ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ইনস্টাগ্রাম লাইভে উপহার খুলে সকলকে দেখান তিনি। অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করা, সেলিব্রেশন উপলক্ষ্যেই প্রথমবার ইনস্টাগ্রাম লাইভও করেন তিনি। এ যেন এক অন্য মানুষ। আগে এ ভাবে অনুরাগীদের সঙ্গে সেলিব্রেট করতে তিয়াশাকে দেখা যায়নি।
একই সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরেই লুক বদলে ফেলেছেন তিয়াশা। এই লুক চেঞ্জ কি সচেতন ভাবেই করলেন অভিনেত্রী? TV9 বাংলাকে এ প্রশ্নের উত্তরে আগেই তিয়াশা বলেন, “অভিনেতারা এক জায়গায় বাধা থাকতে পারে না। লুক চেঞ্জ সে কারণেই করা। শ্যামার লুক ক্যারি করতে হত বলে এই ছবিগুলো এতদিন পোস্ট করতাম না। সবাই ভালবাসেন আমাকে। সেই ভালবাসায় আঘাত আনতে চাইনি। এখন তিন বছর হয়ে গিয়েছে। একটু চেঞ্জ করতে ইচ্ছে করল।”
View this post on Instagram
তিন বছর আগে ১৮ জুন প্রথম টেলিকাস্ট হয়েছিল ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’। শ্যামা হিসেবে অভিনেত্রী তিয়াসা রায়ের সেই প্রথম আত্মপ্রকাশ। প্রথম ধারাবাহিকেই দর্শকের পছন্দের হয়ে উঠেছেন তিনি। ১০০০ এপিসোড পেরিয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিক। সেই সেলিব্রেশনে তিয়াষা বলেছিলেন, “প্রথম যেদিন এক নম্বর এপিসোডের শুটিং করেছিলাম, জানতাম না একের পাশে একদিন আরও তিনটে শূন্য আসবে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে এক এর পাশে তিনটে শূন্য নিয়ে আসার জন্য। ক্যামেররা পিছনেও অনেকে রয়েছেন, সকলের পরিশ্রমে এটা সম্ভব হয়েছে। এই ‘কৃষ্ণকলি’তে এসেই আমি একটা মেয়ে, ছেলে, জামাই পেয়েছি। নাতি নাতনির মুখও যেন দেখে যেতে পারি।”
আরও পড়ুন, ইন্ডিয়ান আইডল জিতে কত টাকার কী কী পুরস্কার পেলেন পবনদ্বীপ? এরপর কী করবেন?