Chumki Chowdhury: শুধু বাবার ছবির হিরোইন হয়েই কেন রইলেন চুমকি চৌধুরী? রয়েছে চমকে দেওয়া কারণ

Chumki Chowdhury: চুমকি চৌধুরী-- টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর আরও এক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর মেয়ে।

Chumki Chowdhury: শুধু বাবার ছবির হিরোইন হয়েই কেন রইলেন চুমকি চৌধুরী? রয়েছে চমকে দেওয়া কারণ
চুমকি চৌধুরী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 28, 2023 | 8:10 AM

গোটা ৯০ দশক জুড়ে ছিল তাঁরই রাজত্ব। একের পর এক হিট ছবি– ‘মেজোবউ’, ‘সেজোবউ’ আরও কত কী… হল যেন উপচে পড়ত সে সময়। টিকিট বিক্রি হত ব্ল্যাকে। চুমকি চৌধুরী– টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর আরও এক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর মেয়ে। সারাজীবন বাবার ছবির হিরোইন হতেই দেখা গিয়েছে চুমকিকে। অন্য পরিচালকের অফার যে ছিল না এমনটা নয়। তাও কেন বেঁধে দেওয়া হয় সীমা? কারণ জানলে অবাক হবেন। ইন্ডাস্ট্রির ভালো মেয়ে চুমকি চৌধুরী। তাঁকে নিয়ে নেই কোনও গসিপ। এমনকি সিনেমায় আসার ইচ্ছেও ছিল না তাঁর। বাবাই আলাপ করান ফিল্মি দুনিয়ার সঙ্গে।

চুমকির কথায়, “একদিন স্কুল থেকে ফিরি, বাবা তখন হিরকজয়ন্তী ছবির জন্য নায়িকা খুঁজছেন। হঠাৎ করেই বললেন, এ কী নায়িকা তো ঘরেই আছে।” ওই শুরু। তবে প্রথম দিন শুটে গিয়ে বেজায় বেকায়দায় পড়তে হয় তাঁকে। জড়িয়ে যাচ্ছিল সব কথা। ওদিকে অঞ্জন চৌধুরীর মাথায় হাত। বলেই ফেলেছিলেন, “এ কাকে নিয়ে এলাম!” এরপর যদিও পুরোটাই ইতিহাস। একের পর এক হিট ঝুলিতে। তবে বাবার প্রযোজনা-পরিচালনা ছাড়া আর কোথাও কোনওদিন কাজ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। কেন? নেপথ্যে রয়েছে একটি কারণ। অফার ছিল না এমনটা কিন্তু নয়। যা ছিল তা হল, বাবার বারণ। অভিনেত্রীর কথায়, “বাবা বাইরে ছবি করতে দেয়নি। তবে একবার ‘মহাসংগ্রাম’ বলে একটি ছবি করেছিলাম। ওই প্রথম ওই শেষ। বাবা দেখি বারবার করে পরিচালক-প্রযোজককে ফোন করছে, বলছে, ছাড়, দেরি হচ্ছে কেন। মা বলেছিল, ‘এমন করছ তো, তোমার মেয়েকে কেউ কোনওদিনও আর ডাকবে না।” অঞ্জন চৌধুরীও নাকি মনে মনে সেটাই চাইতেন।

এমনকি তরুণ মজুমদারের ‘ভালবাসা ভালবাসা’তেও অফার পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করা হয়নি বা বলা ভাল করতে দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে কী আক্ষেপ হয় চুমকির? তিনি জানিয়েছেন ‘না’। খ্যাতির পিছনে ছোটা নয়, বরং তাঁর ইচ্ছে ছিল, ভাল জীবনযাপন, সংসার, উচ্চাকাঙ্ক্ষী কোনওদিনই ছিলেন না তিনি। আর সেই কারণেই না চাইতেও পেয়েছেন নানা সাফল্য। এখন ছবিতে তাঁকে দেখা যায় না বললেই চলে। সিরিয়াল করেন মাঝেমধ্যে। সাংসারিক জীবনও বেশ সুখের। ৯০’র দশকের দুষ্টু-মিষ্টি যে ছাপ তিনি রেখে গিয়েছেন বাংলা ছবির দুনিয়ায় তা নিয়ে চর্চা চলে আজও।