শ্রীলেখার ম্যাক্সির ভিতর রজতাভর চূড়ান্ত আদর, দৃশ্য দেখে অভিনেত্রীকে প্রণাম অধ্যাপকের
Sreelekha Mitra: ফোনের রিসিভার কানে এক প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলছেন, অন্য এক প্রেমিক তাঁর ম্যাক্সির ভিতর ঢুকে ফোরপ্লে করছেন। ফোরপ্লে করেছিলেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত অভিনীত চরিত্র ভুতো। শ্রীলেখার চরিত্রের নাম ছিল নীলা। পর্দায় নীলা হয়ে ওঠা নিয়ে ২৪ বছর পর মুখ খুললেন শ্রীলেখা। TV9 বাংলাকে জানালেন এক ঘর লোকের সামনে ওই সিন করতে গিয়ে ঠিক কী-কী ঘটেছিল? কতখানি লজ্জিত হতে হয়েছিল?
প্রিয় সহ-অভিনেতা এবং বন্ধু রজতাভ দত্তর সঙ্গে বহু বছর আগে একটি সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ছাত্র চন্দ্রিল ভট্টাচার্যর ডিপ্লোমা ছবি ‘ওয়াইটুকে: সেক্স ক্রমে আসিতেছে’তে রাখা হয়েছিল একটি চূড়ান্ত বোল্ড সিন। লাল রঙের ম্যাক্সি পরে বিছানায় শুয়ে লাস্যময়ী নায়িকা শ্রীলেখা মিত্র। ফোনের রিসিভার কানে এক প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলছেন, অন্য এক প্রেমিক তাঁর ম্যাক্সির ভিতর ঢুকে ফোরপ্লে করছেন। ফোরপ্লে করেছিলেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত অভিনীত চরিত্র ভুতো। শ্রীলেখার চরিত্রের নাম ছিল নীলা। পর্দায় নীলা হয়ে ওঠা নিয়ে ২৪ বছর পর মুখ খুললেন শ্রীলেখা। TV9 বাংলাকে জানালেন এক ঘর লোকের সামনে ওই সিন করতে গিয়ে ঠিক কী-কী ঘটেছিল? কতখানি লজ্জিত হতে হয়েছিল?
‘ওয়াইটুকে: সেক্স ক্রমে আসিতেছে’ ছবিটিকে নিজের কেরিয়ারের অন্যতম সফল ছবি হিসেবে মনে করেন শ্রীলেখা। সাফ জানিয়েছেন, ওই সময় যা-যা বলা হয়েছিল ছবিতে, তা এখন প্রাসঙ্গিক। এখন ওসব দেখানো হয় পর্দায়। তখন অত ধক ছিল না। অনেক এগিয়ে থাকা বিষয় নিয়ে ছবিটা তৈরি করা হয়েছিল। বলেছিলেন, “ওই দৃশ্যে অভিনয় করার সময় আমি এক্কেবারেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়িনি। তৎকালীন সময়ের চেয়ে অনেকখানি এগিয়েছিল সেই ছবির বিষয়বস্তু। মনে আছে, আমার সেই সাহসী দৃশ্য দেখার পর একজন অভিজ্ঞ অধ্যাপক বলেছিলেন, ‘আপনার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে চাই।”
একদিকে ঘরে ৫০জনের উপস্থিতি, অন্যদিকে চূড়ান্ত লাভ মেকিং সিন, কতখানি অপ্রস্তুত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন শ্রীলেখা। অভিনেত্রী বলেছেন, “বিদেশে লাভ মেকিং সিন কিংবা ঘনিষ্ঠ দৃশ্য়ের জন্য আলাদা করে কোরিওগ্রাফার থাকে। আমাদের এখানে সে সব কিচ্ছু থাকে না। ফলে না এদিক, না ওদিক গোছের কিছু একটা হয়। এই দৃশ্যেটি যদি কেউ দেখে থাকেন, দেখবেন, আমি একটা লাল রঙের কাফতান পরে ছিলাম। পরনে কিন্তু কাপড় ছিল আমার। দৃশ্যে দেখা যাচ্ছিল, এক প্রেমিকের সঙ্গে আমি ফোনে কথা বলছি, অন্য এক প্রেমিকের সঙ্গে আনন্দ করছি।”
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য যখন চন্দ্রবিন্দুর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, সেই সময়কার ছবি ‘ওয়াইটুকে’। শ্রীলেখার কাছে সোজা গিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে চন্দ্রিল বলেছিলেন, অভিনেত্রীকে ঠিক কী-কী করতে হবে। শ্রীলেখা বলেছেন, “চন্দ্রিলের চিন্তাভাবনা দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। ওভাবে ভাবার জন্য় মনে-মনে আমি তাঁকে বাহবা জানিয়েছিলাম। আর ওই সিনটা আমি জেনেবুঝেই করতে গিয়েছিলাম। রনি (অভিনেতা রজতাভ দত্তর ডাক নাম রনি, ওই নামেই সকলে চেনেন তাঁকে) ছিলেন আমার কো-অ্যাক্টর। রনির সঙ্গে আমার বরাবরই একটা কমফর্ট লেভেল রয়েছে। অনেকগুলো কাজই আমি করেছি তাঁর সঙ্গে। ওই দৃশ্যটা করার সময় আমার বিপরীতে অন্য কেউ থাকলে হয়তো একটু অপ্রস্তুত হতাম।”
শ্রীলেখার কন্যা এবার আইসিএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁরও সিনেমার কাজের সঙ্গেই যুক্ত হওয়ার বাসনা রয়েছে। মায়ের এই সাহসী দৃশ্য কি দেখেছে মেয়ে। শ্রীলেখার উত্তর, “আমার মেয়ে খুব অন্যরকম। খুবই ম্যাচিওর। ওর কিছুই মনে হবে না এই সিনেমা দেখে। ও জানে ওটা অভিনয়। বাস্তব নয়।”