AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

নীলচে চোখের ভয়ানক ভিলেন সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়, এখন কী পরিণতি হয়েছে তাঁর জানেন?

Sumit Ganguly: এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন, "ভিলেন হিসেবে ভয় দেখিয়ে ৮-৯ কোটি ছেলেমেয়েকে মানুষ করেছি আমি। এখন তাঁরা হয়তো অনেক বড় হয়ে গিয়েছেন। চাকরিবাকরিও করছেন। আমার ভয়েই ঠিক মতো স্কুলে গিয়েছে, ঠিক সময়ে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে ছেলেমেয়েগুলো।" সেই সুমিত এখন কোথায়? কী করছেন? কী পরিণতি হয়েছে তাঁর?

নীলচে চোখের ভয়ানক ভিলেন সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়, এখন কী পরিণতি হয়েছে তাঁর জানেন?
বাংলা ছবির ভয়ানক ভিলেন সুমিত গঙ্গোপাধ্য়ায়।
| Updated on: Jun 09, 2024 | 4:10 PM
Share

নীলচে ধূসর দুটো বীভৎস চোখ। ফোলা-ফোলা গাল। দাঁত মুখ খিঁচালে ভয়ে সকলে পগারপার। মায়েরা বাচ্চাদের ভয় দেখিয়েছে তাঁর নাম করেও। সেই লোকটা বাংলা সিনেমার ৯০-এর দশকের হেব্বি ভয়ের ভিলেন। সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়। অনেকদিন হল তাঁকে আর সেইভাবে বাণিজ্যিক বাংলা ছবির দর্শক দেখতে পাচ্ছে না সিনেমার পর্দায়। কোথায় আছেন? কী করছেন সুমিত? বাংলা সিনেমার জগতে হিরো হবেন বলে এসেছিলেন সুমিত। নাটকে অভিনয় করেছিলেন। তারপর সিনেমায় সুযোগ। হতে চেয়েছিলেন হিরো। নায়িকাদের সঙ্গে রোম্যান্স করতে চেয়েছিলেন বড় পর্দায়। কিন্তু তিনি ভিলেন হয়ে গেলেন। হিরো আর হওয়া হল না। অভিনেতা যদিও স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁর যা চেহারা, তাতে ভিলেনটাই তাঁকে মানায়, নায়ক হতে পারবেন না। বলেছেন, “স্রোতে হাঁটতে-হাঁটতে আমি ভিলেন হয়ে গিয়েছি। আমি ভিলেন হতে আসিনি এই ইন্ডাস্ট্রিতে। ভেবেছিলাম, যা রোল পাব তাই করব। কিন্তু লোকে আমাকে ভিলেন হিসেবেই ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন। আমি ধন্য হয়েছি।”

এখন সুমিত…

একসময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, তাপস পাল, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করেছেন সুমিত। তাঁকে নির্মাতা চেয়েছিলেন ভিলেন হিসেবেই। এখন এই অভিনয়গুলো সুমিতের কাছে অতীত। বাংলাদেশের ‘সময় টিভি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুমিত বলেছেন, “একটা সময় আমাকে দেখিয়ে বাচ্চাদের ভয় দেখাতেন তাদের বাবা-মায়েরা। আমাকে প্রচণ্ড ভয় পেত ছোট ছেলেমেয়েরা। ‘কেঁচো খুড়তে কেউটে’ ছবিতে ভিলেন করার পর লাগাতার ভিলেনের রোলই করেছিলাম। ‘যুদ্ধ’, ‘ঘাতক’, ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’-এর মতো ছবিতে ভয়ানক-ভয়ানক সব ভিলেন করেছি। হাড় হিম হওয়ার মতো। সেগুলো সেই সময়কার বাচ্চারা দেখে ভয় পেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে, ঠিক সময় খেয়ে নিয়েছে, পড়তে বসেছে, স্কুলে গিয়েছে। তাই আমার এটাই গর্ব যে, আমি এভাবেই ভয় দেখিয়ে অন্তত ৮ থেকে ৯ কোটি বাচ্চাকে মানুষ করেছি, যারা এখন অনেক বড়-বড় হয়ে গিয়েছেন। হয়তো চাকরি-বাকরি করছে।” যাঁর নাম করে ভয় দেখিয়ে বাবা-মায়েরা বাচ্চা মানুষ করে ফেলেছেন, সেই সুমিতের মেয়েই তাঁকে বিন্দুমাত্র ভয় করে না। উল্টে সুমিতই তাঁর মেয়ের ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন সারাটাক্ষণ। কি মিষ্টি ব্যাপার না!

দেবের সঙ্গে সুমিত।

এই যে হিরো হতে এসে ভিলেন হয়ে গেলেন সুমিত, তাতে তাঁর আক্ষেপ কাজ করে না? এতগুলো বছর বাংলা সিনেমায় সফল ভিলেন হিসেবে কাজ করেও, তিনি যে মনের মতো চরিত্র পেলেন না, এটাই তাঁর দুঃখের অন্যতম কারণ। সুমিত সেই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত একটা ভাল ডায়ালগ পেলাম না আমি। মনের মতো একটা চরিত্র পেলাম না।” এখনও অভিনয় করেন সুমিত। দেব প্রযোজিত ‘খাদান’ ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। সেই শুটিং নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন সুমিত।