জৌলুস কম,তিলোত্তমা কাণ্ডের প্রভাব বিশ্বনাথের দেশের বাড়ির পুজোয়! কী বললেন অভিনেতা?
Biswanath Basu: বসিরহাটের আড়বেলিয়া গ্রামের পুজো ছাড়া তিনি আর কিছুই ভাবতে পারেন না। জীবনের একটা বড় অংশ তিনি সেখানেই কাটিয়েছেন। পুজো মানে নিজের সেই গ্রামের পুজোই বোঝেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। কিন্তু ২০২৪ সালের পুজোটা যেন অনেকটাই অন্যরকম। প্রতি বছর যেমন পুজোর উচ্ছ্বাস আনন্দ থাকে। এবারে যেন কোথাও একটা ভাটা পড়েছে।
বসিরহাটের আড়বেলিয়া গ্রামের পুজো ছাড়া তিনি আর কিছুই ভাবতে পারেন না। জীবনের একটা বড় অংশ তিনি সেখানেই কাটিয়েছেন। পুজো মানে নিজের সেই গ্রামের পুজোই বোঝেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। কিন্তু ২০২৪ সালের পুজোটা যেন অনেকটাই অন্যরকম। প্রতি বছর যেমন পুজোর উচ্ছ্বাস আনন্দ থাকে। এবারে যেন কোথাও একটা ভাটা পড়েছে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত নিজের দেশের বাড়িতেই কাটান অভিনেতা। মায়ের পুজোর সঙ্গে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত তিনি। কিন্তু অগস্ট থেকে শহরে যা যা ঘটনা ঘটেছে তার পর আর কোনও কিছুতেই আনন্দ হচ্ছে না।
TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন অভিনেতা নিজে। বনেদি বাড়ির পুজো মানেই শহর, দেশে-সব জায়গা থেকে আত্মীয় স্বজনরা এসে ভিড় করবেন বাড়িতে। পুজো যেমন হবে। সেই সঙ্গে হুল্লোড়ও হবে বিপুল। এবছরও সব কিছু হচ্ছে, কিন্তু তার মধ্যেও যেন একটা মন খারাপের আঁচ পড়েছে।
TV9 বাংলাকে বিশ্বনাথ বললেন, “খুব মন খারাপ। এই রাজ্যটা আমার। এই বাংলার নাম বাইরে গেলেও শোনা যায়। এই বাংলা সম্পর্কে ভাল কথা শুনলে যেমন আমার গর্ব হয়। তেমনই বাংলার কিছু খারাপ হলেও আমার খারাপ লাগে। এই খারাপ লাগার আঁচ পড়েছে আমার বাড়ির দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতেও। মন খারাপের ঘনঘটা রয়েছে। কী ভাবে বুঝলাম! যখন সব আত্মীয় স্বজনদের ফোন করলাম, কারও গলায় উচ্ছ্বাস ছিল না। কেউ কেউ আবার বললেন দেখছি না হলে পরের বার আসব। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। মা তো আসছে। নিয়মমাফিক সব পুজো আচার অনুষ্ঠান সবই হবে। কিন্তু এ বছর সেই স্বতঃস্ফুর্ততা নেই। এবারে নিউমার্কেটেও কিন্তু সেই প্রভাব দেখলাম। ভিড় আছে। কিন্তু যেন রোশনাই কম। ধর্মতলায় পুজোর আগের যে গন্ধটা পাওয়া যায় সেটা কিন্তু নেই সেভাবে।” শুধু বিশ্বনাথ নয়, কোয়েল মল্লিক থেকে সুদীপা চট্টোপাধ্যায় প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে পুজো হয়তো করবেন তাঁরা। কিন্তু এবার সেই আড়ম্বর থাকবে না।