গত সোমবারের কথা। জন্মাষ্টমীর শুভ তিথিতে কোয়েল মল্লিকের কোল আলো করে বসেছিলেন তাঁর একরত্তি পুত্র কবীর। ছেলেকে কানাইয়া, অর্থাৎ গোপালের সাজে সাজাচ্ছিলেন মা কোয়েল। কিন্তু কোথাও তাঁর মুখ দেখাননি অভিনেত্রী।
বোঝাই যাচ্ছিল, কোয়েল সেদিন তাঁদের ভবানীপুরের আদি বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানেই প্রতিবার দুর্গাঠাকুরের পুজো হয়। ঘরে লাল মেঝে, ছোট ছোট ঠাকুরের মূর্তিতে ছেয়ে গোটা ঠাকুর ঘর। পুরোহিত এসেছিলেন সেদিন। আর ছোট্ট কবীরকে কোলে নিয়ে তাঁর মাথায় ময়ুরের পালক পরাচ্ছিলেন কোয়েল। কবীরের পরনে ছিল মেরুন রঙের কৃষ্ণ পোশাক।
এই ছবিগুলি দেখতে দেখতেই সপ্তাহ গড়িয়েছে নেটিজ়েনদের। কিছুক্ষণ আগে আরও একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কোয়েল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বাঁদরকে কোলে নিয়ে বসে আছেন অভিনেত্রী। দারুণ উপভোগ করছেন সেই সঙ্গ। তাঁকে চারপাশে ঘিরে বসে আসে আরও অনেক পশুপাখি। বলাই বাহুল্য, এখানকার ভিডিয়ো নয়। কোয়েলের বেড়াতে যাওয়ার থ্রোব্যাক ভিডিয়ো। বেড়াতে যাওয়া যে বেশ মিস করছেন অভিনেত্রী, সেটা তাঁর ক্যাপশন দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। লিখেছেন, “থ্রো ব্যাক টু ট্র্যাভেল ডায়ারিজ় ২০১৮…. বালি, ইন্দোনেশিয়া!!!”
২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন কোয়েল। মল্লিকবাড়ির মেয়ে একটু অন্যরকম। অন্যদের মতো সমুদ্র সৈকতে নানা পোজ়ে ছবি তোলার পরিবর্তে তিনি ভিডিয়ো তুলেছিলেন একটি চিড়িয়াখানায়। পশুপাখিদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন অনেকক্ষণ। কখনও বাঁদরকে কোলে বসিয়ে খাইয়েছিলেন। কখনও সাদা রঙের কাকাতুয়ার মাথায় হাত বুুলিয়েছিলেন। সেদিন বাংলা ছবির এই নায়িকার সঙ্গে ছবি তুলেছিল হরিণ, পাখি ও চিড়িয়াখানার অন্যান্য পশুরা।
কোয়েলের পোশাকও ছিল ছিমছাম। নীল রঙের থ্রি-কোয়াটার টি-শার্ট, নীল ডেনিম প্যান্ট, মাথায় খোঁপা, পায়ে স্নিকার্স ও একটি স্লিং ব্যাগ। ব্যাস! ঠোঁটে লিপস্টিকও পরেননি বঙ্গতনয়া। এটাই কোয়েল। পাশের বাড়ির পরিচিত মেয়েটি।
আরও পড়ুন: ঋষি কাপুরের জীবনের শেষ ছবি; একই রকমের জামা পরে সেখানে কী করছেন পরেশ রাওয়াল?