কথায় আছে, অভিনেত্রীদের বয়স নিয়ে কথা বলতে নেই। মন্তব্যও করতে নেই। কিন্তু তাও, জন্মদিন এলেই একধাপ বয়স বেড়ে যায় তাঁদের। আজ অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের ২৬ এপ্রিল কলকাতায় জন্মেছিলেন মৌসুমী। সেই হিসেবে ৭৪ বছর বয়সে পা দিলেন অভিনেত্রী। বহু হিন্দি ও বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন। বাঙালি পরিচালক তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘বালিকা বধূ’ সিনেমায় প্রথম আত্মপ্রকাশ। তারপর একে-একে ছবি করেছেন বাংলায়। শক্তি সামন্তর ‘অনুরাগ’-এর হাত ধরে হিন্দি ছবির দুনিয়ায় পদার্পণ করেন মৌসুমী। অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না… সকলেরই হিরোইন হয়েছেন তিনি। মৌসুমী অভিনীত সাম্প্রতিক আলোচিত ছবির তালিকায় রয়েছে অপর্ণা সেনের ‘গয়নার বাক্স’ ও সুজিত সরকারের ‘পিকু’। আপনি কি জানেন, এই মৌসুমীই একবার মহিলাদের পোশাক পরা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন বলে ভয়ানক সমালোচিত হয়েছিলেন।
২০১৯ সালের কথা। বিজেপিতে যুক্ত হয়েছিলেন মৌসুমী। গুজরাতের সুরাটে গিয়েছিলেন একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। সেখানে গিয়ে সঞ্চালিকার পোশাক দেখে মন্তব্য করেছিলেন মৌসুমী। মুখের উপর বলে দিয়েছিলেন, “তোমার পোশাক এক্কেবারে বেমানান। শাড়ি কিংবা ড্রেস পরতে পারতে।” সেই সঞ্চালিকা সেদিন প্যান্ট পরেছিলেন।
এখানেই থেমে থাকেননি মৌসুমী। আরও বলেছিলেন, “মন্দিরে জিন্স পরা যায় না। সাবেকি পোশাকই পরতে হয়। সালওয়ার কামিজ় পরতে হয়। শাড়ি পরতে হয়। ঘাগড়া চোলি পরতে হয়। তাতেই অনেক বেশি আরাম বোধ হয়। সারাবিশ্বে ঐতিহ্যের জন্য ভারত বিখ্যাত… সুতরাং, আমাদের সেরকমই সাজ করা উচিত।”
এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। তাঁর নিজের কন্যা তো জিন্স পরেন, মৌসুমী নিজেও অফ-শোল্ডার পোশাক পরে ফটোশুট করেছিলেন। তা হলে…
এই বিতর্কের মধ্যে মুখ খুলেছিলেন মৌসুমী। বলেছেন, “আমি কেবল পরামর্শ দিয়েছিলাম। সেই সঞ্চালিকাকে মায়ের মতো বলেছিলাম। বিজেপি লিডার হয়ে কিছু বলিনি। ওকে আমি বিষয়টিকে ভুলভাবে নিতেও মানা করেছিলাম। একজন মহিলা হিসেবে তরুণ প্রজন্মকে পরামর্শ দেওয়ার অধিকার আমার আছে। আমি বলতেই পারি তারা কোথায় কী পোশাক পরবে।”