পার্নোকে ‘ছোঁয়াচে’ আখ্যা দিলেন কে? অভিনেত্রী নিজেই দিলেন সেই আভাস
Parno Mitra: কিছুক্ষণ আগে আপলোড করা একটি সুন্দর পোস্টে তেমনই ক্যাপশন দিয়েছেন পার্নো।
বাঙালি অভিনেত্রী পার্নো মিত্র নাকি ‘ছোঁয়াচে’। কিছুক্ষণ আগে আপলোড করা একটি সুন্দর পোস্টে তেমনই ক্যাপশন দিয়েছেন পার্নো। ঠোঁটে গাঢ় মেরুন লিপস্টিক, অর্ধেক বাদামি চুল মাঝখানে সিঁথি করে খুলে রাখা। চোখের উপরের অংশে আইলাইনার। গলায় সোনার সরু চেন ও পেন্ডেন্ট। পরেছেন কালো রঙের হল্টার নেক পোশাক। আর ক্যাপশনে লিখেছেন, “যেমন একজন আমাকে বলেছে, আমি ছোঁয়াচে।” তারপরই উল্লেখ করেছেন একজনের নাম – আদিত্য।
আদিত্যর সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দিলে খুঁজে পাবেন পার্নোকেও। তাঁর উদ্দেশ্যেই এই পোস্ট করেছেন পার্নো। পোস্টের পরই কুড়ি হাজার লাইক ভেসে এসেছে ছবিতে। কিন্তু আদিত্য কে, সেই আভাস মেলেনি কোথাও।
View this post on Instagram
২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পার্থী হিসেবে বরাহনগর থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন পার্নো। প্রচারের সময় তাঁর উপর হামলাও হয়েছিল। অনেক কসরত করে প্রচার সেরেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ভোটে হেরে যান। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে ভোটও দিতে পারেননি তিনি।
টেলিভিশনে অভিনয়ের মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু করেন পার্নো। রবি ওঝা প্রযোজিত ‘খেলা’ ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনয়ে পদার্পণ করেন তিনি। সেটা ছিল ২০০৭ সাল। চরিত্রের নাম ছিল ইন্দ্রা। রবি ওঝার আরও একটি ধারাবাহিকে কাজ করেন – ‘মোহনা’। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন পার্নো। ‘সময়’ ধারাবাহিকে আবির চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।
অঞ্জন দত্তর ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবিতেই পার্নোর বড় পর্দায় ডেবিউ হয়। সেরা বাংলা ছবি, সেরা সঙ্গীত ও স্পেশ্যাল জুরির জন্য তিনটি জাতীয় পুরস্কার জেতে ছবিটি। একটি সাক্ষাৎকারে পার্নো বলেছেন, “প্রত্যেকটি ছবি একজন অভিনেতাকে অন্তর থেকে বদলে দেয়। তাই নিজেকে উন্নত করতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করো। রঞ্জনা করার পর একজন অভিনেতা হিসেবে আমার দায়িত্ব অনেকখানি বেড়ে গিয়েছিল। আমি যা চেয়েছিলাম তাই পেয়েছিলাম। অভিনেতা হিসেবে বড় হয়েছি।”
View this post on Instagram
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি ‘অপুর পাঁচালী’তে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে কাস্ট করা হয়েছিল পার্নোকে। ইফিতে (ভারতের আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল) বাহবা কুড়িছিল সেই ছবি। তারপর ‘বেডরুম’, ‘আমি আর আমার গার্ল ফ্রেন্ডস’, ‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’, ‘একলা আকাশ’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন। ২০১৫ সালে তাঁর তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল – ‘রাজকাহিনি’, ‘ভীতু’ ও ‘গ্ল্যামার’। শুধু এপারের বাংলাতেই নয়, ওপারের বাংলা, অর্থাৎ বাংলাদেশের পরিচালকদের সঙ্গেও কাজ করেছেন পার্নো। মুস্তাফা সারওয়ার ফারুকির ছবি ‘ডুব’-এ প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। ২০১৮ সালে অনির্বাণ ভট্টাচার্যর সঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘আলিনগরের গোলকধাঁধা’-এ।
রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘ধর্মযুদ্ধ’-এ দেখা যাবে পার্নোকে। সেই ছবিতে অভিনয় করেছেন সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তীর মতো তারকারা। ইসমাইলপুরের দাঙ্গার গল্প বলবে সেই ছবি। করোনা না থাকলে অনেকদিন আগেই মুক্তি পেত ‘ধর্মযুদ্ধ’।
আরও পড়ুন: আড়াই বছর অপেক্ষার পর এক অন্য ‘খেলা’য় মাতলেন অরিন্দম শীল ও মিমি চক্রবর্তী
আরও পড়ুন: একবারই চিত্রনাট্য পড়ে মাত্র দু’মিনিটে ছবির জন্য রাজি হয়েছেন বিগ বি; কোন ছবি?